অবৈধপথে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা, ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৪ বাংলাদেশি

0
13

বার্তাকক্ষ ,,লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ফরিদপুরের দুই যুবককে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখনো চার যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ যুবকদের পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন।
রোববার (১২ মার্চ) বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে লিবিয়া থেকে ৩০ ব্যক্তিকে নিয়ে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা নৌকাটি উল্টে যায়। এদের মধ্যে ১৭ জনকে সোমবার পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় যাদের সবাই অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের সিসিলির শহর পোজালোতে রাখা হয়েছে।এদের মধ্যে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বিলগোবিন্দপুর গ্রামের নান্নু সররদারের ছেলে হৃদয় সরদার (২৫) ও আহমেদ ফরাজীর ছেলে রাসেল ফরাজী (২০) নামে দুজন রয়েছেন।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন মাতুব্বর (২০), সোবাহান মোল্লার ছেলে মাহফুজ মোল্লা (২২), এসকেন মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরামুল ব্যাপারী (২৭) নামে চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।নিখোঁজ আল আমীনের মা চামেলি বেগম (৩৮) বলেন, মাস দুয়েক আগে তার ছেলে বিদেশ যান। এরপর বিভিন্ন দেশ হয়ে বৃহস্পতিবার তাদের সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি নেওয়ার জন্য ট্রলারে ওঠানো হয়।
তিনি বলেন, দালাল চক্রের এক সদস্য কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা মুরাদ ফকির (৩৬) গত সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাগরে ট্রলারডুবির পর আল আমীনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানান।চামেলী বেগম আরও বলেন, গত ৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। ওই দিন ভোর সাড়ে চারটার দিকে মুরাদ চামেলী বেগমকে ইমোতে জানান, তাদের ইতালির যাওয়ার জন্য স্পিডবোটে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিখোঁজ চার যুবকদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি ইতালির যাওয়ার জন্য ঢাকা যান তারা। এরপর ৮ জানুয়ারি দুবাই যান। দুবাইয়ে চারদিন থাকার পর মিসর হয়ে ১২ জানুয়ারি নাগাদ তারা লিবিয়া পৌঁছান। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের ট্রলারে উঠিয়ে দেওয়া হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দালাল চক্রে মুরাদ ফকিরের সঙ্গে ডাঙ্গী ইউনিয়নের মশাউজান গ্রামের ফরহাদ ফকির, বিলগোবিন্দপুর গ্রামের লিটন সরদার ও আবুল হোসেন ও বাসাগাড়ি এলাকার কাদের মাতুব্বর নামে আরও চারজন রয়েছেন। মুরাদ ফকির লিবিয়া থাকেন। কিছুদিন আগে তিনি দেশে এসে ১৫ দিন আগে আবার লিবিয়া চলে যান।এ ব্যাপারে ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, মুরাদ ফকির একজন মানব পাচারকারী। তিনি এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ তরুণকে পাঠিয়েছেন। তিনি লোক পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন।
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।