নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরিবেশ বিনষ্ট করার প্রধান বিপুল পরিমানের পলিথিন আনলোড করার সময় এক পিকআপ পলিথিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০০২ এর ১৫ ধারায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এএসআই আজাহারুল ইসলাম বাদি হয়ে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন। মামলায় ৩জনকে গ্রেফতার ও ৩জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর (ওয়ার্ড-০৬) এর আব্দুল খালেক এর ছেলে মনিরুল ইসলাম, একই উপজেলার মোহনপুর (বটতলা ওয়ার্ড নং ০৭) এর মহিউদ্দিন শেখ এর ছেলে ফজলে রাব্বি ও ভোলা জেলার সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদি (২নং ইউপি)বর্তমানে যশোর শহরের খালধার রোড ( বারান্দীপাড়া )সকিনা বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল কাশেম এর ছেলে মহাসিন। এসময় ঢাকা জেলার চকবাজার থানার আরমান,যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার লিটন সাহা ও যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মোহাম্মদ আলীকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এএসআই আজাহারুল ইসলাম জানান,শুক্রবার অফিসার ও ফোর্সসহ যশোর কোতয়ালি মডেল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করাকালে মনিহার সিনেমা হলের সামনে অবস্থানকালে বিকেল ৪ টার পরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন নিউ মার্কেট টু পালবাড়ী গামী হাইওয়ে পাকা রাস্তার পাশে এসএস ট্রেডার্স ও মেসার্স কাজী আবু জাফরের রড সিমেন্টের দোকানের সামনে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ পলিথিন ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ট্রাক থেকে আনলোড করছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য টিম ইনচার্জের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বিকেল সাড়ে ৪ টায় ঘটনাস্থলে পৌছায়ে একটি ট্রাক হতে সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তা আনলোড করা অবস্থায় দেখে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এগিয়ে গেলে জ্যাকেট পরিহিত ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় ঘটনাস্থল হতে মনিরুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি ও মহাসিনকে আটক করে। স্থানীয় ও উপস্থিত ব্যবসায়ীদের সামনে আটককৃতদের আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উপরে উল্লেখিত তাদের নাম প্রকাশ করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ৬ টনের ট্রাক যার রেজিষ্টেশন নং ( ঢাকা মেট্টো-ট-২৪-৫৯৮৮) ট্রাকের ব্যাকডালায় থাকা ৫০টি সাদার রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তায় ২ হাজার ৪শ’ কেজি অবৈধ পলিথিন উদ্ধার করে। আটকৃতরা ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বি জানায় জব্দকৃত পলিথিনের মূল মালিক আরমান। মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ডিবি পুলিশকে জানায়, ট্রাকে রক্ষিত অবৈধ পলিথিন তার মাধ্যমে লিটন সাহার নিকট নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে পাঠিয়েছে। মনিরুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বি পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, উক্ত পলিথিনের কিছু অংশ মোহাম্মদ আলী নিকট প্রদানের জন্য মুল মালিক পাঠিয়েছে। আটক ও পলাতক আসামীগন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য উক্ত অবৈধ পলিথিন ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের হেফাজতে রেখে ও বহন করে পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০০২ এর ১৫ ধারার অপরাধ করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হওয়ার পর শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।