প্রতিদিনের ডেস্ক॥ সংগীতা চৌধুরী। একাধারে অভিনয় ও বাচিক শিল্পী। জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। ছোট থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে বসবাস তার। তারপর পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে। কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতা দিয়ে। কিন্তু অভিনয় আর শিক্ষকতা একসঙ্গে মেলাতে না পরায় শিক্ষকতা ছেড়ে পরিপূর্ণভাবে অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন। শুরুটা থিয়েটার দিয়ে। ২০০৪ সালে তারিক আনাম খানের নাট্যকেন্দ্র দলে যোগ দেন। এরপর থেকে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সংগীতা।
বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটক, বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র, বাচিক অভিনয় ও থিয়েটারে অভিনয় নিয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মিত বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর মা সায়েরা খাতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সংগীতা। অভিনয় করেছেন শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’-এ। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন পান্না কায়সারের লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’ অবলম্বনে তৈরি সিনেমা ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ এর শুটিং নিয়ে। এটি শহীদুল্লাহ কায়সার-পান্না কায়সার দম্পতির মেয়ে অভিনেত্রী শমী কায়সারের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধানসিঁড়ি প্রোডাকশন থেকে নির্মিত হচ্ছে। সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এ ছাড়াও কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত তিনি। কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি আছে তার। বিজ্ঞাপন, প্রামাণ্যচিত্রে নিয়মিত কণ্ঠ দেন তিনি। দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক মেগা সিরিয়াল ‘সুলতান সুলেমান’-এ সুলতান সুলেমানের স্ত্রী হুররামের চরিত্রের বাংলা কণ্ঠের কারিগর তিনি। কাজ প্রসঙ্গে সংগীতা চৌধুরী বলেন, অভিনয় আমার ধ্যানজ্ঞান। প্রতিটি শাখাকে আমি শ্রদ্ধা করি। তাই সব মাধ্যমেই কাজ করছি। এ অভিনেত্রীর এখন মঞ্চে চলমান আছে আইরিন পারভীন লোপার ‘কোথায় জলে মরাল চলে’, তৌকীর আহমেদের ‘তীর্থযাত্রী’, ইউসুফ হাসান অর্কের ‘পুণ্যাহ’ প্রভৃতি। এর বাইরে তিনি নিজের মায়ের নামে গড়ে তুলেছেন ‘কস্তুরী’ বাচিক পাঠশালা নামে একটি কণ্ঠস্কুল।
এদিকে সংগীতা কবিতা নিয়ে বর্তমানে এমফিল করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
