বার্তাকক্ষ
আগামী জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। মিরপুরের ওই ম্যাচের আগে প্রস্তুতির জন্য খুব বেশি সুযোগ নেই তাদের। তবে সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া চারদিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবেন মুমিনুল হক, খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেনরা। এছাড়া সাদমান ইসলাম, জাকির হাসানরা খেলছেন প্রথম ম্যাচ থেকেই। ওখানে খেলেই টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বৃষ্টির কারণে সিলেটে চারদিনের প্রথম ম্যাচটি ড্র করেছিল আফিফ হোসেনের বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে কিছুটা কঠিন কন্ডিশনেই পড়তে হবে স্বাগতিকদের। কেন না উইকেটে ঘাস রেখেই উইকেট বানানো হচ্ছে। যেখানে স্পিনারদের জন্য তেমন সুবিধা থাকবে না। সুবিধা পাবেন পেসাররা। মূলত আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেস সহায়ক উইকেট খেলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই সিলেটে ঘাসযুক্ত উইকেটে খেলবেন জাকির-সাদমান-মুমিনুলরা।
বিসিবির ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্সের কথায় তেমন কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া গেলো, ‘এখানে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হয়েছে। ফ্ল্যাট উইকেট বলা যায়। এখানে যে ঘাস আছে সেটা কেবল বাংলাদেশের জন্যই সুবিধা হবে না, অন্য দেশের জন্যও সুবিধা হবে।’সম্প্রতি বাংলাদেশের পেসাররা দারুণ পারফরম্যান্স করছেন। বিসিবির এই ব্যাটিং পরামর্শক তাদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত, ‘আমি পেসারদের পারফরম্যান্সে খুশি। তারা ভালো জায়গায় বল করেছে, আমি মুগ্ধ। আশা করছি তারা একই পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা চার বছর আগের টেস্টে কোনও পেসার ছিল না। সাকিবের সঙ্গে তাইজুল, মিরাজ ও নাঈম ছিলেন। হাত ঘুরিয়েছিলেন মোসাদ্দেকও। অন্যদিকে আফগানিস্তানের বৈচিত্রপূর্ণ বোলিংয়ে বাংলাদেশ হেরে যায়। আসন্ন এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশে যে আগের ভুল করবে না, সেটি অনুমিতই।
সিলেটে নিজেদের চেনা কন্ডিশন প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন সাইফ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, আফিফ হোসেনরা। অতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। অথচ সাদা পোশাকে উইকেটে গিয়ে ধৈর্যের পরীক্ষা দেওয়ার কথা তাদের।
শিষ্যরা ভুল শুধরে ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো কিছু করবে বলে আত্মবিশ্বাসী সিডন্স, ‘আমি মনে করি, ছেলেরা প্রত্যেকেই সাদা বলের ক্রিকেট খেলে এসেছে। এজন্য প্রচুর শট খেলছে। বোলাররা সঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারছিল না। ব্যাটাররা যেন ফরোয়ার্ড ডিফেন্স খেলতে বাধ্য হয়, সেই চেষ্টা করতে হবে পেসারদের। যা লাল বলের ক্রিকেটে জরুরি। ব্যাটাররা নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই প্রচুর শট খেলছিল। বল ছাড়ছিল না, আবার ডিফেন্স করছিল না। আশা করছি দ্বিতীয় ম্যাচে এটা মানিয়ে নেবে। সাদা বলের ক্রিকেট থেকে এসে লাল বলে খেলা কঠিন। মাঝে মাত্র দুই দিনের প্রস্তুতির সময় ছিল।’
