Thursday, September 28, 2023
Homeসাহিত্যআমিনুল ইসলামের তিনটি কবিতা

আমিনুল ইসলামের তিনটি কবিতা

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

একাদশে ভর্তিতে বাড়তি ফি নেয়া বন্ধ

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় বাড়তি ফি আদায়ের নৈরাজ্য দেখা যায়।...

ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

মো. মহিউদ্দীন, ঝিনাইদহ “তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক...

বটিয়াঘাটায় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক আমন ধানের ফসল নষ্ট

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের গজালিয়া মৌজায় কৃষকের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে প্রায় ৪বিঘা...

শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে সরকার বদ্ধ পরিকর : এমপি রণজিৎ

শান্ত দেবনাথ, বাঘারপাড়া যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের...

ব্যর্থতার প্রেসনোট
দ্যাখো—গায়ে ভালোবাসার ইউনিফর্ম আর
হিরোইনসেবীদের মতো জড়িয়ে সে—
বহুগামী অন্ধকারের শরীরে,—যেখানে
জোছনাকে কুকুরের চোখ বলে মনে হয়!
তথাপি চেষ্টা করেছি। একবার। বহুবার।
কখনো একাদশীর চাঁদ কখনো পূর্ণিমা।
পারলাম না। মনটা খারাপ। আকাশের গায়।
মাই লর্ড, ইওর অনার, ব্যর্থতা কি শুধুই আমার!
পায়ের কাছে বঙ্গোপসাগরের অফুরন্ত রিজার্ভ
কিন্তু আকাশ কি পারে শ্রাবণের ঝারি দিয়ে—
মুক্ত করতে শীতলক্ষ্যাকে দূষণের গ্রাস থেকে?
সাফল্য দ্রৌপদীর সন্তান
প্রতিটি ব্যর্থতার পেছনে থাকে বহুমুখি বন্ধ্যা সহবাস।
****
আমার অস্তিত্বের ভেতর
কে সে আমার ভেতরে যে আমি খেতে বসলে টেনে ধরে ক্ষুধা-
না খেও নাকো আর? আমি দৌড়োতে গেলে আমার পথ
স্পীড ব্রেকার হয়ে চেয়ে ওঠে চার রঙা চোখে, না পথিক,
তোমার জন্য বরাদ্দকৃত দৌড় ফুরিয়েছে আরও আগেই।
আমি ঘুমুতে গেলে সে তাঁর খামখেয়ালী হাত রাখে—
চোখের পাতায়—কখনো ঘুম আসে—কখনো আসে না
কখনো-বা মাঝপথেই ভেঙে যায়, উঠে বসি শয্যা ছেড়ে।
আমি প্রার্থনায় বসি অথচ মনোযোগ ব্যাহত হয় বারবার
পরমাত্মার সাথে অদৃশ্যের তারে হয় না পদ্মাসেতু রচনা-
আমার উপাসনা খরার আউশের মতো ঝরে পড়ে বিফলতায়-
আমি আমার পরম প্রিয় অভ্যাসের অনুগত যা আমাকে
মিলিত হতে প্ররোচনা দেয়; অথচ সেখানেও বাধা,
কখনো মাঝপথে, কখনো-বা শুরুতেই- শেষ হয়ে যায় সবকিছু
তীরবিদ্ধ ঘোড়ার মতো হাঁফাতে থাকি আমি ঘর্মাক্ত শরীরে-
মাঝে মাঝে রাগ ওঠে- মনে হয় নিজেকেই খুন করে ফেলি-
কিন্তু প্রাণের প্রতি প্রণয় আমার অপরিসীম, পারি না-,
ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে ভঙ্গুর গণতন্ত্রের মতো দাঁড়িয়ে থাকি
আপন অস্তিত্বে পরবর্তী ব্যর্থতা হজম করার আশঙ্কা নিয়ে মনে।
আমাকে গভীরভাবে যারা জানেন, তাদের কারও কারও মন খারাপ হয়;
কেউবা অভ্যস্ত হয়ে উদাসীন থাকেন সংশিত নীরবতায়।
এ নিয়ে আজও কেউ আমার কাছে প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা চান নাই-
ভাবি- যদি জীবন নিজেই কোনোদিন ব্যাখ্যা দাবি করে বসে-
তুমি যদি আমাকে এভাবে যাপন করবে তবে কেন ধরেছিলে অস্তিত্বে,
আমি কি জবাব দেবো জীবনকে? কি জবাব দেবো!!!
****
মাঝিকে
নৌকা তো সেই পুরোনো দিনের
বুকের তলায় স্রোতের দাগ
হাইল ও গুড়া রয়েছে অটুট
তুমিও ভোলোনি যোগের ভাগ।
পারানের কড়ি পাচ্ছো যে মাঝি
এই নিয়ে খুশি অন্তহীন
ঢেউ ছাড়া কোনো ঝুঁকি আছে কি না
উদাসীন তুমি রাত্রিদিন।
কানায় কানায় ভরেছে কখন
জল ছুঁই ছুঁই গলুই ধার
ঝড়ের চেয়েও বড় ভয় আজ
বাদাম অদূরদর্শিতার।
ও রে ও মাঝি কেন যে ভোলো
নৌকাডুবির রয়েছে রিস্ক
নূহের নাও-ও লাগতো না কূলে
যাত্রী ওঠালে সংখ্যাধিক।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

স্বপ্নবাজ

প্রতিদিনের ডেস্ক আহমদ সবসময় ভবিষ্যত নিয়ে ভাবে।ভবিষ্যতে সে কী হবে?কী করবে? এসব ভাবতে ভাবতে একসময়...

তাওসিফ মাইমুনের কবিতা

আড়ি ল্যাম্পপোস্টের আলোয় হবে আমাদের আড়ি অবাক দৃশ্যে যতটা পথ দাও না পাড়ি বেলা ফুরালে ফিরবো না...

ধ্বংসের পথে ৫০০ বছরের ফকির বালেগশাহ মসজিদ

প্রতিদিনের ডেস্ক তিন গম্বুজ ‘ফকির বাল্লেগ শাহ্ মসজিদ’ মোগল আমলে নির্মিত ,প্রায় ৫০০ বছরের...