শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন :
বাজার ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে। এ সপ্তাহে খামারের মুরগি,ডিম ও চিনির দাম আরও এক ধাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে খাসির মাংসের দাম বাড়তির সুযোগে ছাগীর মাংসের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে এ সপ্তাহে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম স্থির রয়েছে। তাছাড়া কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মুরগির ডিম প্রতি পিস সাড়ে ১১ টাকা থেকে পঞ্চাশ পয়সা বেড়ে এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা। তবে বড় বাজারের বাইরে অন্য খুচরা দোকানিরা প্রতি পিস ডিম সাড়ে ১২ টাকা করে বিক্রি করছেন। বড় বাজার কাঠেরপুলের ডিম বিক্রেতা মাহবুবুর রহমান জানান, খামার মালিকরা ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদেরকে পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। শুধু ডিম নয় এ সপ্তাহে খামারের মুরগি লেয়ারের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩শ ১০ টাকায়। সোনালী মুরগি ৩শ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১শ ৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, মুরগির খাবারের দাম অত্যাধিক বেশি, তাই মুরগির দাম বাড়ছে। মুদি দোকানে গতকাল চিনির কেজিতে ৫টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা। বড় বাজার মাছবাজার রোডের মুদি দোকানি ইফাত স্টোরের স্বত্বাধিকারী সোহরাব হোসেন আশঙ্কা করছেন হয়ত সামনের সপ্তাহে প্রতি কেজি চিনিতে আরও ৪/৫ টাকা বাড়তে পারে। এদিকে বড় বাজারে খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণে ছাগীর মাংসের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। মাংসের মান ও মানুষ বুঝে বিক্রেতারা প্রতি কেজি ছাগীর মাংস ৭শ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৮শ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করছেন। মাঝবাজার জামে মসজিদ রোডের খুচরা চাল বিক্রেতা শওকত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শওকত হোসেন জানান, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তিনি তিনি আশা করছেন, চলতি কার্তিক মাসের শেষের দিকে নতুন ধান উঠলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে। এদিকে,বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমে আসতে দেখা গেছে। ২০ টাকা কমে ফুলকপি এ সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে। শিমও কেজিতে ২০ টাকা কমে ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজার মাছবাজার রোডের খুচরা সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে দাম কমে আসবে।