বার্তাকক্ষ
চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও হামলার মামলায় হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম জসিমসহ (৫৪) ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২২ মে) সকালে চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম কামরুন নাহার রুমি এ আদেশ দেন।
অভিযোগ গঠন হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- চেয়ারম্যান বিএম জসিমের ছেলে মুসফিক উদ্দিন ওয়াসী (২৪), রবিউল হোসেন ওরফে রবি (৩৮), সাবেক ইউপি সদস্য ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী লিও (৪৫), মো. ইকবাল উদ্দিন ওরফে সাকিব (২৪), আবদুল হাকিম ওরফে হাকিম (২১), রিমন উদ্দিন চৌধুরী (৩২), মো. আয়ুব আলী ওরফে হিরু (৪০), টিটন শীল (৩৮), মো. রুবেল (৩৫). মো. সোহেল (৩৮), মো. করিম মোস্তফা (৪২), মো. আসিফ ওরফে বুবিনীর ছেলে (২১), আ ন ম আবদুল্লাহ ওরফে রানা (৩৪) এবং মো. রুবেল (৩৫)।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরের মামলায় স্থানীয় হাইদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আদালত সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। সোমবার মামলার ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। অভিযোগপত্রের অন্য দুই আসামির বয়স কম হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলবে বলে জানান তিনি।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল বিকেলে পটিয়া হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়। ওই ঘটনায় জিতেন কান্তি গুহের ভাই তাপস কান্তি গুহ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরের দিন ৩০ এপ্রিল সকালে ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম ও তার ছেলে ওয়াসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, ওই বছরের ২৯ এপ্রিল হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এতে ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিমকে দাওয়াত না দেওয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে দাওয়াত দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জিতেন গুহকে বেদম মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এ হামলার একটি ছবি তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
