বার্তাকক্ষ
ক্রিকেটের লম্বা সংস্করণে বাজে সময় কাটছে ডেভিড ওয়ার্নারের। সবশেষ ভারতে টেস্ট খেলে ইনজুরিতে দেশে ফেরার আগে তিন ইনিংসে মাত্র ২৬ রান করেন। গত ১৫ ইনিংসে মাত্র একবার পঞ্চাশ ছাড়ান, ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ইনিংসকে দুইশর ঘরে নেন বাঁহাতি ওপেনার। ইংল্যান্ডে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার। তবে কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড তাকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ইংল্যান্ডে ওয়ার্নারের প্রভাবশালী ব্যাটিং দেখবেন, বিশ্বাস তার।
আগামী ৭ জুন দ্য ওভালে ভারতের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং ১৬ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজের প্রথম দুটি ম্যাচের স্কোয়াডে আছেন ওয়ার্নার। কিন্তু নির্বাচক জর্জ বেইলি তাকে প্রথম একাদশে রাখার ব্যাপারে কথা দিতে পারছেন না। উসমান খাজার সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি গড়তে ওয়ার্নারের প্রতিদ্বন্দ্বি দুই রিজার্ভ ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও ম্যাট রেনশ।
তবে ম্যাকডোনাল্ড দৃঢ় কণ্ঠে জানালেন, ওয়ার্নারের বিকল্প নিয়ে ভাবছেন না তারা। বুধবার এসইএন-কে তিনি বললেন, ‘ডেভের মধ্যে যা আছে, তাতে আমরা আশাবাদী। আমরা তাকে স্কোয়াডে নিয়েছি এবং আমাদের বিশ্বাস অ্যাশেজ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে, আর এজন্যই সে আমাদের সঙ্গে বিমানে উঠবে।’
ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৯ সালে সবশেষ সিরিজে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স করে সমালোচিত হন ওয়ার্নার। ১০ ইনিংস খেলে গড় ছিল ৯.৫০, যা অ্যাশেজ সফরে কোনও ওপেনারের সবচেয়ে বাজে। ওইবার স্টুয়ার্ট ব্রডের কাছে সাতবার উইকেট হারান বাঁহাতি ব্যাটার। কিন্তু ২০১৫ সালে ইংলিশদের মাটিতে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৪৪ গড়ে করেন ৪১৬ রান।
ওই সিরিজ থেকে ওয়ার্নার ইতিবাচক থেকে খেলবেন মনে করেন ম্যাকডোনাল্ড, ‘আমি মনে করি সে (২০১৫ থেকে) ইংল্যান্ডের কিছু ইতিবাচক অভিজ্ঞতা টুকে নিতে পারে। ২০১৫ সালে তার গড় ছিল চল্লিশের ওপরে। সেখানে তার সাফল্য আছে। এমন নয় যে, এই ধরনের কন্ডিশনে তার সফলতা নেই। তাই তার যা আছে, তাতে আমরা তাকে সমর্থন দিচ্ছি।’
সম্প্রতি আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে ছিলেন ওয়ার্নার। তার দল ব্যর্থ হলেও ৫১৬ রান করে নজর কাড়েন। ওই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছেন এই অজি তারকা।
ম্যাকডোনাল্ড বললেন, ‘সে ভালো মেজাজে আছে। আমি গতকাল তার সঙ্গে কথা বললাম, সে মাঠে নামতে প্রস্তুত। ক্যাম্পে ফেরার জন্য অধীর অপেক্ষায় সে।’
