বার্তাকক্ষ
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ইভিএমে কিছু ক্ষেত্রে ননফাংশনাল থাকে, হয়তো কাজ করতে পারে না। কিন্তু ট্রাবলশুট করে সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর করা হয়। মেশিন কখনও কাজ না করলে আমাদের কারিগরি লোক সঙ্গে সঙ্গে তা ঠিক করে দিচ্ছে। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে এটা ঠিক করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে এখন কোথাও আর তেমন কারিগরি ঝামেলার তথ্য আর আসছে না বলে দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সেই ভোট নির্বাচন ভবনে বসে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
ভোটের তিন ঘণ্টায় ভোটার উপস্থিতি বাড়ার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সিসি ক্যামেরায় দেখছি, শৃঙ্খলার সঙ্গে ভোট হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত (প্রথম আড়াই ঘণ্টা) ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে। খারাপ কোনও খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বিচারিক ও নির্বাহী হাকিমরাও খুব তৎপর রয়েছেন, সমন্বয় করে কাজ চলছে।সকালে কিছু সিসি ক্যামেরা কাজ করেনি, অনিয়ম ও এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ ও কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএমে ধীরগতি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনিয়মের কোনও খবর এখনও পাইনি। পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়নি। কিন্তু জানানো উচিত রিটার্নিং অফিসারের কাছে। যেকোনও অভিযোগ পেলেই খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
সিসি ক্যামেরা বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোথাও ইন্টারনেট না থাকায় সিসি ক্যামেরায় কাজ করছে না। কিন্তু রেকর্ডিং হচ্ছে, আমাদের কাছে তথ্য থাকছে, ভিডিওি ফুটেজ আছে। সকালে ১০ থেকে ১২টি দেখা যাচ্ছিল না। এখন অনেকগুলোই দেখা যাচ্ছে।
ভোটের পরিবেশ সার্বিকভাবে ভালো থাকলেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতার এখনও না থাকলেও হয়ত দু-চার জনের তথ্য আসতে পারে। মাঠ পর্যায়ের একীভূত তথ্য পাওয়া যাবে, অফিসিয়ালি আমাদের কাছে প্রতিবেদন আসবে। যারা গ্রেফতারের মতো অপরাধ করবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
