বার্তাকক্ষ
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাড়তি ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে মে মাসের টিউশন ফি’র সঙ্গে নানা খাতযুক্ত করে বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। ভর্তির সময় সরকারের বেঁধে দেওয়া অর্থের বেশি নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় বর্তমানে টিউশন ফি’র সঙ্গে এসব অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
একাদশ শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভর্তির সময় সাড়ে ৭ হাজার টাকা নিয়েছে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রতিমাসে ২১০০ থেকে ২৪০০ টাকা টিউশন ফি নিলেও মে মাসে ৭ হাজার ৯৭৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে। আর ধার্য করা টাকা দিতে বিলম্ব হলে সপ্তাহে আরও ১০০ টাকা জরিমানা হিসেবে নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তারা বলেন, পার্শবর্তী সব কলেজের চাইতে এখানে বেশি টিউশন ফি আদায় করা হচ্ছে। ভর্তির কয়েক মাস পর আইটি, উন্নয়ন, সিলেবাস, পানি, জেনারেটর, লাইব্রেরি, মেইনটেনেন্সসহ ২২ ধরনের খাত উল্লেখ করে ৭ হাজার ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণি এখানো শেষ না হলেও নতুন ভর্তির মতো বিবিধ বিষয় যুক্ত করে ফি আদায় করা হচ্ছে। শুধু একাদশ শ্রেণি নয়, নতুন ভর্তি হওয়া প্রাক-প্রাথমিক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ ধরনের অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম শামসুল আলম খান বলেন, নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির সময় সরকারিভাবে ফি নির্ধারণ করে দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের ফি আদায় করা সম্ভব হয়নি। তাই মে মাসে সেসব ফি আদায় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। জেনারেটর চালিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। জেনারেটর চালাতে ঘণ্টায় ২৫ লিটার ডিজেল প্রয়োজন হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতাসহ সব ব্যয় বহন করা হয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা না হলে প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব হবে না। চলতি বছর দেড় হাজার নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। তাদের সবার কাছ থেকে ফি আদায় করা হচ্ছে। এটি সাধারণত জুন মাসে নেওয়া হয়। তবে এবার জুনে ঈদুল আজহা হওয়ায় আগেই নেওয়া হচ্ছে।
