নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের নাটুয়াপাড়া গ্রামে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জিএমএসএস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধার সমন্বিত প্রবীণ ও শিশু নিবাস ‘ আমাদের বাড়ি’। এখানে দেড়শ’ প্রবীণ ও শিশু একই ছাদের নিচে বসবাস করবে। দুই একর জমির উপর নির্মিত এই নিবাস ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে উৎপাদনমুখী নানা কর্মকা-। ব্যতিক্রমী এই প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। শনিবার দুপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ আমাদের বাড়ি’ নিবাসটির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন জনগণকে জমি ও গৃহ প্রদান করে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। বিশ্বের বুকে ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রোডম্যাপ প্রণয়ণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, সেটি বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
স্বাধীনতা বিরোধীচক্রদের সমালোচনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। আজকের তরুণ প্রজন্মই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর চেতনার ধারক ও বাহক। এ চেতনাকে ধারণ করে তারাই একদিন গড়ে তুলবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। তাই আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, যশোর -৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরোও বক্তব্য রাখেন যশোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা।
জানা যায়, গ্রামীণ মনোরম পরিবেশে প্রায় ২ একর জমির ওপর ৪ তলাবিশিষ্ট ভবনটিতে ১৫০ জন বসবাস করতে পারবেন। নির্মাণ ব্যায়ে ৮০ শতাংশ সরকারের এবং ২০ শতাংশ জিএমএসএস ফাউন্ডেশনের। এই মুহূর্তে এখানে বসবাসের জন্য প্রায় ৭০ জনের ডাটাবেজ করা হয়েছে। ১২ জন অবস্থান করছেন। উদ্বোধনের পরপরই সবার থাকার ব্যবস্থা উন্মুক্ত করা হবে। সরকারের সাথে চুক্তি অনুযাযী ৩০ ভাগ বিনামূল্যে রাখা হবে। ৭০ ভাগ থাকবে যৌক্তিক মূল্যে। এটা সম্পূর্ণ অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান বলে দানশীলরা এখানে আর্থিক সহায়তা দিয়ে সামাজিক অবদানে সুযোগ পাবেন। এখানে দেয়া সহায়তার অর্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত সুবিধার আওতায় থাকবে।