Saturday, September 23, 2023
Homeআজকের পত্রিকাএক জনমেই জন্মান্তর

এক জনমেই জন্মান্তর

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

উদ্যোগ নেয়া হোক কার্যকরী

বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছে। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন বহন করার মতো...

নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিদিনের ডেস্ক ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু...

ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ: যা বিষেও মরছে না, দিশেহারা কৃষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কৃষকরা। তবে এবার...

চৌগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দ্বিতল ভবন, দূর্ঘটনার আশংকা

চৌগাছা সংবাদদাতা যশোরের চৌগাছা বাজারে জরাজীর্ণ একটি দ্বিতল ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ...

ড. পরেশ চন্দ্র মণ্ডল :
জন্মান্তরবাদ’ হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান ধারণ স্তম্ভ (জন্মান্তরবাদ ও কর্মফল ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কর্ম মাত্রই ফল প্রসব করে থাকে। আর কর্মকর্তাকে সে ফল ভোগও করতে হয়। ‘নাভুক্তং ক্ষীয়তে কর্ম কল্পকোটি শতৈরপি। অবশ্যমেব ভোক্তব্যং কৃতং কর্ম শুভাশুভম।’ অর্থাৎ শত কোটি কল্পেও ভোগ ভিন্ন কর্মের ক্ষয় হয় না। কর্মফল ও তার অনিবার্য পরিণতিতে পুনর্জন্মগ্রহণ শাস্ত্রীয় বচনসিদ্ধ এবং অনেক ক্ষেত্রে বাস্তব দৃষ্টান্তে এ তত্ত্ব সমর্থিত। অন্য জন্ম জন্মান্তর এভাবে বিশ্লেষিত হয়েই জন্মান্তর শব্দটি এসেছে। কিন্তু এক জনমেই যে মানুষ জন্মান্তরের মত নতুন ভাব, চিন্তা, ধ্যান, আচার, নিষ্ঠায় নতুন মানুষ হয়ে ওঠেন সেটি সন্ধানের অভীপ্সা নিয়েই বর্তমান নিবন্ধ। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে জীবন প্রবাহ-এর বাঁকে বাঁকে মানুষের রুচি আকাক্সক্ষা চিন্তা এবং অনুধ্যানের রূপান্তর ঘটে থাকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই। বাল্যে যে ভোগ্যবস্তুর প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে; বয়সসীমার অগ্রগতিতে তার পরিবর্তন এটি ব্যক্তিমাত্রেই অনুভব করে থাকেন। কৈশোরে যৌবনের দুর্নিবার ভোগস্পৃহা প্রৌঢত্বে ও বার্ধক্যে তাঁর অবলপ্তি এটিও অবাস্তব কিছু নয়। এমনিভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় মানুষ এক জন্মেই যেনো ভিন্ন মানুষে পরিণত হয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে আমরা দু একজন মহাপুরুষের জীবন কাহিনী স্মরণ করতে পারি। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য বাল্যে ছিলেন নিমাই, যৌবনে নিমাই প-িত। তাঁর পা-িত্যে তদানীন্তন নবদ্বীপ পন্ডিত সমাজ তটস্থ। তার্কিক, যুক্তিবাদী নিমাই প-িতের সান্নিধ্য এড়িয়ে যেতে পারলেই যেন পন্ডিতকুল স্বস্তিবােধ করতেন। অধ্যাপক নিমাই প-িতের টোলে ছাত্র হয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাওয়ায় ছাত্ররা নিজেদেরকে ধন্য মনে করতো। একবার জ্যোৎস্না প্লাবিত রজনীতে নবদ্বীপে গঙ্গা তীরে নিমাই প-িত ছাত্রদের নিয়ে আলাপচারিতার সময় দেখতে পেলেন কাশীরের দিকবিজয়ী প-িত কেশব মিশ্র আসছেন। নিমাই প-িত সশ্রদ্ধ চিত্তে দিকবিজয়ী প-িতকে গঙ্গাদেবীর বন্দনা করতে অনুরােধ করলেন। প-িত কেশব মিশ্র তৎক্ষণাৎ ঝড়ের গতিতে স্বরচিত শতাধিক শ্লোকে গঙ্গার স্তোত্র বলে গেলেন। তখন নিমাই প-িত আচার্য কেশব মিশ্রের শ্লোকগুলাের সমালোচনা শুরু করলেন। নিমাই প-িতের সমালােচনার উত্তরে আত্মপক্ষ সমর্থনে দিকবিজয়ী প-িত অসমর্থ হলেন, নিমাই দিকবিজয়ী প-িতকে হারিয়ে দিয়ে নবদ্বীপের পন্ডিত সমাজের মুখ উজ্জ্বল করলেন। এই নিমাই প-িত পরলােকগত পিতার আত্মার সদ্গতির উদ্দেশ্যে পি-দানের জন্য গয়াধামে যান। সেখানে ঈশ্বরপুরীর কাছে দীক্ষিত হয়ে নিমাই নবদ্বীপে ফিরলেন এক নতুন মানুষ হয়ে। তিনি আর সংসারী নন, ছাত্রপ্রিয় অধ্যাপক নন, জ্ঞানদাম্ভিক প-িত নন, তিনি হয়ে গেলেন কৃষ্ণ বিরহে কাতর মহাপ্রেমিক এক সাধক। বিদ্যা বৈভব ত্যাগ করে নিমাই হলেন প্রেমের কাঙাল; সংসার ত্যাগ করে কাটোয়ায় এসে কেশব ভারতীর কাছে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করলেন তাঁর নাম হলো শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য সংক্ষেপে শ্রীচৈতন্য। একই জন্মে তাঁর ঘটলো জন্মান্তর। অনুরূপভাবে সাধক বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনেও তাঁর আধ্যাত্মিক চিন্তার ক্ষেত্রে জন্মান্তর পরিলক্ষিত হয়। বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী (১৮৪১-১৮৯৯) চৈতন্যদেবের বিখ্যাত শিষ্য অদ্বৈত্যাচার্যের বংশে জন্মগ্রহণ করার ফলে গোড়া বৈষ্ণবীয় আবহাওয়ায় বড় হয়ে উঠেন। তিনি জন্মাবধি ভক্তিবাদী। কিন্তু ছাত্রজীবনে শঙ্করাচার্যের বৈদান্তিক দর্শন পাঠ করার ফলে তাঁর মন ব্রহ্ম সাধনায় বিশ্বাসী হয়ে উঠে। তিনি বেদান্ত দর্শনের একটি ভাষ্য রচনা করে অদ্বৈতবাদ ও মায়া বাদ সমর্থন করেন। এরপর মেডিক্যালে পড়ার সময় ‘হিত সঞ্চারিনী’ নামে এক সভা স্থাপন করেন। এই সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতিভেদের চিহ্নস্বরূপ ব্রাহ্মণের পৈতাটি পর্যন্ত তিনি ত্যাগ করলেন। এই সময় ব্রাহ্ম ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে তিনি গ্রহণ করলেন ব্রাহ্ম ধর্ম। লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ব্রাহ্ম সমাজের প্রচার কল্পে তিনি আত্মনিয়োগ করেন। ব্রাহ্ম সমাজের বেদি থেকে তিনি যে বাণী বিতরণ করতেন, তাতে সৃষ্টি হয়েছিলো এক অভূতপূর্ব উন্মাদনা। তিনি বাণী বিতরণের শেষে যখন বিশ্বমাতাকে উদ্দেশ্য করে উদাত্ত কণ্ঠে “হে মাতা, হে মাতা” বলে উঠতেন তখন শ্রোতাদের হৃদয় এক আশ্চর্য অনুভূতিতে পূর্ণ হয়ে উঠতো। ব্রাহ্মধর্মের অন্যতম আচার্য এই বিজয়কৃষ্ণের ধর্মীয় জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো ত্রৈলঙ্গস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর। বিজয় কৃষ্ণের মধ্যে ভক্তি পথে ঈশ্বর আরাধনার ভাবটি পুনরায় জেগে ওঠে। গয়াধামে আকাশ গঙ্গা পাহাড়ে এসে অকস্মাৎ বিজয় কৃষ্ণের সাক্ষাত হয়। শক্তিধর যোগী পুরুষ ব্রহ্মানন্দ স্বামীর সঙ্গে। তার কাছে দীক্ষা গ্রহণ করে বিজয়কৃষ্ণ সনাতন ধর্মের যোগীরূপে পরিণত হন। তিনি পুরোপুরি চৈতন্য-ভাবালম্বী না হয়েও ধর্মীয় আরাধনায় মধুরভাবে অবলম্বন করে শিষ্যদের মুক্তি সাধনায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করেন। বিজয় কৃষ্ণের আধ্যাত্ম সাধনার দিক পরিবর্তনগুলোর মধ্যদিয়ে তাঁর সাধন জীবনের জন্মান্তর সূচিত হয়েছে। বাল্মীকির ভারতীয় সংস্কৃতির আদি কবি জীবন কাহিনী পর্যালোচনা করলেও এক জনমেই যে জন্মান্তর ঘটতে পারে এরূপ বোধ উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। চ্যবন মুনির পুত্র রতœাকর দস্যুবৃত্তির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বৃদ্ধ পিতা-মাতা ও স্বীয় স্ত্রীর ভরণপোষণ করে থাকতেন। দস্যুবৃত্তি অনুশীলনে নরহত্যা করতেও তার দ্বিধা ছিলো না। এমনি পাপীষ্ঠ রতœাকরের জীবনে আধ্যাত্ম চেতনার উন্মেষ ঘটে ব্রহ্মা আর নারদের উপদেশে। কৃতকর্মের ফল যে কর্মকর্তাকেই স্বয়ং ভােগ করতে হয় সে কর্মফলে তার পরিবারের অন্য কেউ যে অংশীদার হয় না; এ সত্যটি জেনে রতœাকর তাঁর দস্যু জীবনের সঞ্চিত নিকৃষ্টতম পাপরাশির কথা চিন্তা করেই আত্মগ্লানিতে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। তখন ব্রহ্মার নির্দেশে ‘রাম নাম জপ করতে করতে তিনি পাপমুক্ত হন এবং ব্রহ্মার বরে বাল্মীকি হয়ে রামায়ণ মহাকাব্য রচনা করেন। এই যে পরিবর্তনদস্যু রতœাকর মুনি বাল্মীকি হয়ে গেলেন, এটিকে এক জীবনের মধ্যে জন্মান্তর ঘটে গেলো বলা চলে। সাধন জীবন বাদ দিয়ে নিতান্ত বাস্তবধর্মী সংসার জীবন যাত্রার প্রতি দৃষ্টি দিলেও অনুরূপ দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা যায়। প্রসঙ্গত, সংস্কৃত নাট্যাঙ্গনের বিশিষ্ট নাট্যগ্রন্থ মুদ্রারাক্ষসে উল্লিখিত একটি শোকের প্রতি আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারি যেখানে বলা হয়েছে‘মিত্রাণি শৎুত্বমুপানয়ন্তী মিত্রত্বমর্থস্য বশাচ্চ শত্রু। নীতির্নয়ত্যন্ত পূর্ববৃত্তং জন্মান্তরং জীবত এব পুংসঃ। ৫/৮” অর্থাৎ নীতির (রাজনীতির) এমনি প্রভাব যে প্রয়োজনের অনুরোধে এ মিত্রকে শত্রুতে এবং শত্রুকে মিত্রে পরিণত করে। পূর্ব বৃত্তান্ত সব ভুলে গিয়ে মানুষ জীবদ্দশাতেই যেনো জন্মান্তর লাভ করে। নন্দবংশের প্রভুভক্ত মন্ত্রী রাক্ষস (সুবুদ্ধিশর্মা) প্রভুহন্তা মৌর্যাধিপতি চন্দ্রগুপ্তকে হত্যা করে প্রভু হত্যার প্রতিশোধ এবং সিংহাসনে নন্দবংশধর কাউকে স্থাপনের উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। অপরদিকে চলগুপ্তের বিচক্ষণ মন্ত্রী। কুটনীতিবিদ চাণক্য চাচ্ছেন নন্দবংশের প্রভুভক্তমন্ত্রী রাক্ষসকে বশে এনে চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যশাসণভার গ্রহণ করাতে। এই বিপরীতমুখী উদ্দেশ্য নিয়ে দুই ধুরন্ধর রাজনীতিবিদের সংগ্রাম। কুটবুদ্ধির প্রভাবে রাক্ষস সহায়হীন হয়ে চানক্যের চালে আসমর্পণ করতে বাধ্য হন। প্রিয় বন্ধু (চন্দন দাস)-র জীবন রক্ষার্থে চন্দ্রগুপ্ত চানক্যের বিরুদ্ধচারণ পরিহার করে তাদের ইচ্ছানুরূপ চন্দ্রগুপ্তের রাজ্য পরিচালনার গুরু দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হলেন রাক্ষস। পূর্বের শত্রু হয়ে গেলেন মিত্র। এই পরিবর্তনকে নাট্যকার একজনমেই জন্মান্তর রূপে আখ্যায়িত করেছেন। অনুরূপভাবে কিশোর-যুবকদের জীবনে যে অনেক সময় ভয়াবহ পরিণতি ঘটে থাকে তারও লে এমনি নীতির প্রভাব তথা জন্মান্তর দৃষ্ট হয়। যে সুকুমার যুবকটি মহাবিদ্যালয় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতায় অস্ত্র হাতে তুলে । নেয়, সেখান থেকে তার ফিরে আসা অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অংশগ্হণ করে নিষ্ঠুর জঘন্য হিংসাবৃত্তি চরিতার্থ করতে দ্বিধা করে না; নিজ হাতেই অনেক প্রাণসংহার করে। এরপর সে নিজেই একদিন প্রতিপক্ষের শিকারে পরিণত হয়ে প্রাণ হারায়। এরূপ ঘটনা বর্তমান সমাজে সুধীজনের গভত্তিার বিষয় তাে বটেই। এরূপ সন্ত্রাসী জীবন অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে ওই সন্ত্রাসীই একদিন ছিলাে সুশীল সুবোধ গোলাপের । মতাে নিস্পাপ প্রতিশ্রুতিশীল বিকাশেখ জীবনের অধিকারী; কিন্তু সময়ের অগ্রগতিতে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সংস্পর্শে এসে সে হয়ে পড়েছিলাে নাশী এবং তার পরিণতিতে সন্ত্রাসীদের হাতেই জীবনাবসান। এমন ঘটনার মধ্যেও এক জনমে জন্মান্তর লক্ষ্য করা যায়। আলোচনার কলেবর বৃদ্ধি না করে সংক্ষেপে বলা যায় ‘জন্মান্তর’ কথাটির মধ্যে শব্দগত এবং স্বাগত যে তাৎপর্য রয়েছে, তারপরেও শব্দটিকে বাস্তব জীবনের . নীরিখে বিচার করা যেতে পারে। এখানে র্তব্য ফল । কর্মকর্তাকেই ভোগ করতে হয় আর সে ভোগ ইহজীবনেও হতে পারে, জন্মান্তরেও হতে পারে।

 

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

নড়াইল পৌরসভায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’

নড়াইল সংবাদদাতা : নড়াইল পৌরসভার মেয়র, সচিব, প্রধান সহকারীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাড়ে তিন কোটি টাকা...

মোল্লাহাটে ইদুর মারা ঔষধ খেয়ে শিশু নিহত

বাগেরহাট সংবাদদাতা : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বাগানে ফেলে রাখা ইদুর মারার বিষ মিশ্রিত চালভাজা খেয়ে আসমা...

যশোর এম এম কলেজে অর্থনীতি বিভাগের সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অর্থনীতি বিভাগে বৃহস্পতিবার সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারের...