Sunday, May 28, 2023
Homeআজকের পত্রিকাএখনো ২ টাকায় খেয়া পারাপার করেন কানু মাঝি

এখনো ২ টাকায় খেয়া পারাপার করেন কানু মাঝি

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরুক

অর্থনীতি ও উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলার খবর পুরনো। চরম অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা...

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতিতে মুগ্ধ ওয়েইডং

বার্তাকক্ষ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং বলেছেন, তিনি ১০ বছর পর বাংলাদেশ সফর...

এবার নতুন ‘ফাঁদ’ দুদকের

বার্তাকক্ষ ফাঁদ হচ্ছে হাতেনাতে দুর্নীতিবাজ ধরার একটি পদ্ধতি। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) বিভিন্ন...

বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে পার্থক্য নেই: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমরা তো হাসিনার আমলে আছি।...

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা :
নাম তার কানু রায়। ৪০ বছর ধরে খেয়া পারাপার করছেন। খেয়া পারাপার করায় এখন তিনি সবার কাছে কানু মাঝি নামেই পরিচিতি। সব কিছুর দাম বাড়লেও তার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। মাত্র ২ টাকায় খেয়া পারাপার করেন তিনি। ফলে দিন শেষে তার আয় হয় ১২০-১৫০ টাকা। সামান্য টাকায় সাত সদস্যের পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।
কানু মাঝি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চর গ্রামের সরকারি জায়গায় বসবাস করেন। তিন মেয়েসহ তার পরিবারের সদস্য সাতজন। সামান্য আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেলেও মায়ায় পড়ে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া পেশা বদলাতে পারেননি তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, তালায় সেতু হওয়ার আগে এই খেয়াঘাটি ছিল মানুষের পারাপারের একমাত্র মাধ্যম। এক সময় শত শত মানুষ খেয়াঘাট দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সেতু হওয়ার পর এখানকার মাঝিদের জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ নৌকা দিয়ে নদী পার হয় না। নদীর ওপারে একটি সামাজিক বনায়ন থাকায় কিছু মানুষ কানু রায় নৌকায় সেখানে ঘুরতে যায়। তাছাড়া নদীর ওপারে অল্প কিছু সংখ্যক জনবসতি থাকায় তারা নিয়মিত যাতায়াত করে। সবমিলে দিনে ৫০-৬০ জনের মতো যাত্রী পারাপার করেন তিনি। তাতে তার আয় হয় ১২০-১৫০ টাকা।
কানু মাঝি বলেন, ৪০ বছর ধরে এই পেশায় আছি। বাপ-দাদার পেশা ছাড়তে পারিনি। অন্য পেশাতে গেলে তেমন কাজও করতে পারি না। যাত্রী পারাপার করে জনপ্রতি দুই টাকা পাই। তাই দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালায়। খুব অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করতে হয়। মোটা কাপড় ও মোটা চালের ভাত খেয়ে জীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সব কিছুর দাম বেড়েছে, শুধু আমার পারিশ্রমিক বাড়েনি। পারাপারের দাম বাড়ালে মানুষ আর আমার নৌকয়ে উঠতে চায় না। তখন বিকল্প পথে যাতায়াত করে। তাই বাধ্য হয়ে পারাপার খরচ দুই টাকায় রেখেছি। ১০ বছর আগেও মানুষের কাছ থেকে দুই টাকা নিতাম, এখনো দুই টাকা নিই।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, খেয়াঘাট ইজারার সময় মাঝিরা প্রথম সারিতে আবেদন করতে পারে। এটা তাদের জন্য একটা বড় সুযোগ। তাছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরও দাম বাড়ানো দরকার। তারা আমাদের জানালে, তাদের নতুন প্রজন্মকে সরকারিভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

সুন্দর সাহা: আজ ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের...

স্বাগত ইংরেজি নববর্ষ-২০২৩

সুন্দর সাহা শুভ ইংরেজি নববর্ষ-২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। আজ রবিবার পহেলা জানুয়ারি ইংরেজী নববর্ষের প্রথমদিন। নববর্ষ মানে...

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

সুন্দর সাহা আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। পৃথিবীর বুকে যখন বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন...