আব্দুল আলিম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা কলারোয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের কোঁপে গুরুতর আহত হওয়ার ৯ দিন পর শাহীন হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকায় এই হামলার ঘটনার পর বৃহস্পতিবার(১৩ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার একাব্বর গাজীর ছেলে নিহত শাহীন হোসেনকলারোয়ার খোর্দ্দ এলাকার ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা। প্রতিবেশি এক গৃহবধুর পরকীয়ার প্রতিবাদ করার জের ধরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এঘটনায় নিহতের ভাই আফসার আলী গাজী বাদী হয়ে গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী আমিনুর সরদার পলাতক রয়েছেন। তিনি কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার বজলে সরদারের ছেলে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক আলমগীর কবির জানান, আমিনুর সরদারের স্ত্রীর সাথে স্থানীয় এক যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় প্রতিবেশী শাহীনের চাচী শাহানারা খাতুন প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমিনুর সরদার শাহীনের চাচী শাহানারা খাতুনকে উপর্যুপরি পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তার গলায় রশি বেঁধে দেন। এ ঘটনা দেখে শাহীন হামলাকারীকে নিবৃত্ত করতে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে আমিনুর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হতে থাকায় পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন তিনি। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর একটু সুস্থ হয়ে বোনজামাই বাগেরহাটের শেখ আহমদ আলীর বাসায় গেলে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মরদেহটি বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতলে রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত আসামিকে খুজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
