কেউ এসেছেন স্বজনের খোঁজে, কেউ ছবি তুলতে

0
15

বার্তাকক্ষ ,,রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণস্থলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের সমাগম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বারবার চেষ্টা করলেও ঘটনাস্থল থেকে জনতাকে সরানো যাচ্ছে না। কেউ এসেছেন বিস্ফোরণস্থল দেখতে, কেউ ব্যস্ত ছবি তুলতে।ঘটনাস্থল দেখতে আসা আল আমিন নামের একজন বলেন, আমি এই এলাকায়ই কাজ করি। তাই দেখতে এসেছি। এখনই চলে যাবো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, মানুষ কেন এখানে ভিড় করছে বুজতে পারছি না। মানুষের ভিড়ের জন্য কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। মানুষ এটা বোঝে না যে তাদের জন্য উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটছে।সিদ্দিকবাজারে ঘটনাস্থল দেখতে ভিড় করছে অনেকে, তাদের কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে উদ্ধারকাজ সিদ্দিকবাজারে ঘটনাস্থল দেখতে ভিড় করছে অনেকে, তাদের কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে উদ্ধারকাজ
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচতলায় বাংলাদেশ স্যানিটারি নামের দোকানে কাজ করতেন মেহেদি হাসান স্বপন। মঙ্গলবার ঘটনার পর থেকে তাকেও পাওয়া যাচ্ছে না। স্বপনের ভাই, শশুরসহ তার আত্মীয়রা এসেও ভিড় করেছেন স্বপনের খোঁজে।
স্বপনের শ্বশুর আব্দুল মান্নান বলেন, সে এখানে (বাংলাদেশ স্যানিটারিতে) ম্যানেজার ছিল। তার সঙ্গে দুইজন ছিল, তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু স্বপনকে এখনও পাওয়া যায়নি। গতকাল বিস্ফোরণের পর থেকে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ স্বপনের বাড়ি নোয়াখালীর সোনামোড়ি উপজেলার বজরা গ্রামে। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ঢাকায় চাকরি করছেন। তার এক ছেলে ও মেয়ে আছে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উৎসুক জনতাকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উৎসুক জনতাকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এলাকায় সাত তলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত, আহত হয়েছেন অন্তত দেড় শতাধিক। নিখোঁজ আছেন কয়েকজন। ঘটনার পর শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযান রাত পৌনে ১১টার দিকে স্থগিত করা হয়। বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিস আবার উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
বুধবার সকাল থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে রয়েছেন র‌্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, এজিবির সদস্যরা। পাশের এলাকায় যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক আছে।
ছবি: প্রতিবেদক।