বার্তাকক্ষ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে কোনও জঙ্গি সংগঠন চিরকুট রাখেনি, রেখেছে দুষ্টু ছেলেরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ‘হুমকি দিয়েছে ‘দাজ্জাল বাহিনী’। এই নামে দেশে কোনও জঙ্গি সংগঠন নেই। কোনও দলও নেই। আমাদের কাছে মনে হয়েছে কোনও দুষ্টু ছেলেরা অতি উৎসাহী হয়ে এমন চিরকুট লিখেছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজকদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। তারপরও এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।’
এবারের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান আনন্দমুখর করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। রমনা, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরবরসহ যেসব স্থানে নববর্ষের আয়োজন করা হবে সবখানেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, ‘রমনার বটমূলে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ৯টি গেট থাকবে। তার মধ্যে চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রতিটি গেটেই আর্থওয়ে থাকবে। ব্যাগ নিয়ে রমনায় প্রবেশ করা যাবে না। এছাড়া সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করা যাবে। এরপর প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পুলিশ ও বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। যারা নববর্ষ উপভোগ করতে চান তারা নিশ্চিন্তে পালন করতে পারবেন।’
জঙ্গি ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘দুই জন জঙ্গি ছিনতাই হয়েছে। বিনিময়ে গ্রেফতার হয়েছে ১০ জঙ্গি। তারপরও সেই দুই জনকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। সরাসরি জঙ্গি হুমকি নেই। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমরা বাঙালি, বীরের জাতি। দু-একটা বোমা দিয়ে আমাদের দমন করা যাবে না। ৭১-এ পাক হানাদার বাহিনী ট্যাংক, বন্দুক নিয়ে দমন করতে পারে নাই। আর কোথাকার কোন জঙ্গি দুটা বোমা মেরে দমন করবে– বাঙালি এমন ভিতু জাতি না। কোনও শকুন নখ দেখিয়ে ভয় দেখাবে– এমন জাতি আমরা না। তারপরও আমরা প্রস্তুত আছি। কেউ কোনও দুর্ঘটনা ঘটানোর সাহস দেখাতে পারবে না।’
কোনও জঙ্গি সংগঠন নয়, চিরকুট রেখেছে দুষ্টু ছেলেরা: ডিএমপি কমিশনার
Published on
