
বার্তাকক্ষ ,,প্রাক্তন কর্মীর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলোন মাস্ক। অবশেষে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলেন টুইটারের মালিক ও সিইও মাস্ক।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার। টুইটারে প্রাক্তন কর্মী হারালদুর থর্লেথসনের সঙ্গে বচসায় জড়ান মাস্ক। ওই কর্মীর চাকরি ও বেতন নিয়ে তীব্র বাকযুদ্ধ বেঁধে যায়। তখনই নাকি হারালদুরের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেন মাস্ক। কীভাবে তার ‘অক্ষমতা’র জন্য সংস্থা তাকে সাহায্য করেছে, সেসব ফিরিস্তিও তুলে ধরেন মাস্ক।
হারালদুরের দাবি, মাস্ককে নিজের শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা নিয়েই যে তাকে কটাক্ষ করা হবে, এই ধারণা তাঁর ছিল না। তিনি বলেন, অন্যের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ঠাট্টা করেন। কিন্তু উনি তো ফিট। তারপরও শৌচালয়ে দেহরক্ষী নিয়ে যান।
হারালদুরকে নিয়ে মশকরা করার বিষয়টি সামনে আসার পর অনেকেই তার পাশে দাঁড়ান।
সংক্ষেপে ‘হালি’ নামের ওই কর্মী টুইটারে জানিয়েছিলেন, ৯ দিন আগে তার কম্পিউটার সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু তার চাকরি আছে, নাকি নেই, তা তাকে জানানো হয়নি। সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত টুইটারে ইলোন মাস্কের উদ্দেশে টুইট করেন। এর রিপ্লাইতে ইলোন জানতে চান, ‘আপনি কী কাজ করছিলেন?’
উত্তরে প্রথমে ওই কর্মী জানান, সেটি তিনি টুইটে বলতে পারবেন না। কারণ সেটি সংস্থার গোপনীয়তার নীতির বিরুদ্ধে। তবে তিনি লিখিত অনুমতি দিলে তা করতে পারেন।
ইলোন মাস্কের অনুমতি পাওয়ার পর ওই কর্মী নিজের কাজ ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু সেই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট মাস্ক। সরাসরি রিপ্লাইতে জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, এই কর্মী বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার অজুহাত দিয়ে কাজে ফাঁকি দিতেন।
পরে অবশ্য ইলোন ওই কর্মীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। তাতে তার ‘ভুল’ ভেঙেছে বলে জানান মাস্ক। ওই কর্মীর কাছে টুইটারে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ইলোন মাস্ক জানান, প্রাক্তন ওই কর্মীর বক্তব্য ঠিক মতো বুঝতে পারেননি তিনি। বলেন, হারালদুরের কাছে ক্ষমা চাইছি। কারণ ওই অবস্থাটা আমি বুঝতে পারিনি। আমি যা শুনেছিলাম, তার ওপর ভিত্তি করেই কথাগুলো বলেছি।