খুলনায় দুই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

0
11

খুলনা সংবাদদাতা
খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলা ও রোগীর মায়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা দু’টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। গত ৯ মার্চ এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। সোমবার (১৩ মার্চ) সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, আগুনে পুড়ে যাওয়া মেয়ের হাতের আঙুলের চিকিৎসার জন্য খুলনার শহিদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর শরণাপন্ন হন এএসআই নাইমের স্ত্রী নুসরাত ময়না। সেখান থেকে তাদের যেতে বলা হয় নগরী ময়লাপোতা মোড় এলাকার হক নার্সিং হোমে। নুসরাতের অভিযোগ, সেখানে মেয়ের চিকিৎসা চলাকালে তার (নুসরাত) সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন ডা. নিশাত। ২৫ ফেব্রুয়ারি মেয়ের হাতের আঙুল ব্যান্ডেজসহ খুলে পড়ে। পরে চিকিৎসক নিশাতকে বিষয়টি ফোনে জানিয়ে হক নার্সিং হোমে যান। সেখানে শিশুটির চিকিৎসা করতে অনীহা প্রকাশ করেন চিকিৎসক নিশাত। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান ওই নারী। পুলিশ সেখানে গেলে চিকিৎসক আঙ্গুলের ব্যান্ডেজ করে দেন। তবে ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর অভিযোগ, ওই দিন রাতে এএসআই নাইম তার ওপর হামলা চালান। এ অভিযোগে তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করেন। একই সঙ্গে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিএমএ খুলনা জেলা শাখায় আবেদন করেন। বিএমএ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়া এলাকার হক নার্সিং হোমের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলা চালায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাঈম ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রোগীর মা নুসরাত ময়না তার শ্লীলতাহানির অভিযোগে পাল্টা মামলা করেন ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে। এ মামলার পর চিকিৎসকরা তাদের কর্মবিরতি বর্ধিত করেন। পরে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালের মধ্যস্থতায় চিকিৎসকরা কর্মবিরতি সাতদিনের জন্য স্থগিত করেন। শনিবার আন্দোলন স্থগিতের সময় পুনরায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে বিএমএ খুলনা শাখার নেতারা ১৫ দিনের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করার ঘোষণা দেন। ওসি মমতাজুল হক বলেন, দুটি মামলারই চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। ৯ মার্চ এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।