খুলনা সংবাদদাতা :
খুলনার বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাজারে সব ধরনের সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। এক সময়ে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকা কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বাজারে চাল-ডাল ও তেলের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে কমেছে পেঁয়াজের দাম। শনিবার খুলনার পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। বাজারে মাছ আসতে শুরু করায় দর কমতে শুরু করেছে।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা রবিউল, বাদশা, মাছুম খলিফা, রানা, মনি জানান, কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম আরও একদফা কমে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে। বিকেলে এ দাম ৩০ টাকায় গিয়ে ঠেকছে।
গত সপ্তাহে বাজারের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া বেগুন এ সপ্তাহের ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম কমে যাওয়ায় অন্যান্য সবজির দাম কমে গেছে। লাউ ৪০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, ওল ৫০ টাকা, উচ্ছে ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, কুশি ৪০, কাকরোল ৩০, কচুরলতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সকালে ক্রেতার সমাগম একটু বেশি থাকে। তখন বিক্রেতার টাটকা সবজির দাম বেশি নেয়। বিকেলে একই সবজির দাম কেজি ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়।
আলু বিক্রেতা গণেশ দাস বলেন, এ বছর আর আলুর দাম হয়তো বাড়বে না। মাঝেমধ্যে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই দাম বাড়িয়ে আলু কখনও তিন কেজি একশত টাকা আবার কমিয়ে সাড়ে তিনকেজি একশত টাকায় বিক্রি করছে।
নগরীর পিটিআই মোড়ের কাঁচামাল বিক্রেতা রেজাউল করিম, বাজারে সবজির সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তাই দামও অনেক কমে গেছে। জোড়াকল বাজারের মুরগি বিক্রেতা লিপু, বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের মত ১৬০ টাকা রয়েছে।
বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, বাজারে চিংড়ি সাইজভেদে ৩০০-৪৫০ টাকা, বাগদা ৫০০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৩০ টাকা, ভেটকি ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ১৫০ টাকা, রুই-কাতলা ৩০০ টাকা, ইলিশ ৪০০-১০০০ টাকা, তপসে মাছ ৩৬০ টাকা, বেলে মাছ ৪০০ টাকা, টাকি মাছ ১৫০-১৮০ টাকা, পাবদা ২৫০-৩০০ টাকা, সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার দপ্তরের উপ-পরিচালক শিকদার শাহিনুর আলম বলেন, খুলনার বাজারগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। জেলা প্রশাসনেরও একটা টাক্সফোর্স অভিযান পরিচালনা করে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা এখন খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারছে না।
তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে মাঝেমধ্যে বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। এখন তা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কোথাও অনিয়ম হওয়ার খবর পেলেই সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানা তিনি।