খুলনা প্রতিনিধি
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ হারানো সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু ১১ মাস নীরব থাকার পর সক্রিয় হয়েছেন। তিনি খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এরপর লিফলেট বিতরণ ও কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনি বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফের সক্রিয় হলেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর থেকে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কর্মীসহ নীরব থাকেন।সম্প্রতি সারা দেশে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে সমাবেশ শেষ হয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর এই কর্মসূচিকে ঘিরে আলোচনায় উঠে আসেন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নজরুল ইসলাম মঞ্জু কখনোই নিষ্ক্রিয় নন, তিনি সব সময়ই সক্রিয়। তিনি তার দলবল নিয়ে এই সমাবেশে থাকবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। সমাবেশে সব স্তরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপির জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। দলের মহাসচিব গত পরশুদিন পার্টির কর্মসূচি সফলের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। দলের নেতাকর্মী এবং জনগণকে নিয়ে যেন এই কর্মসূচি সফল হয় সে জন্য কাজ করতে বলেছেন। মহাসচিবের এই আহ্বান নিয়েই আমরা গত দুই দিন বৈঠক করেছি। এই বৈঠকগুলোর যে প্রস্তাবনা সেগুলো আমরা মহাসচিবকে জানিয়েছি।’
তিনি জানান, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে তিনিসহ সবাই সক্রিয় রয়েছেন। তারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণ করবেন। গণসমাবেশেও অংশ নেবেন।
সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের গত ৯ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর বিএনপির ৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি থেকে বাদ পড়েন নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার অনুসারীরা। গত ১২ ডিসেম্বর দলের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ ডিসেম্বর শোকজ করা হয় মঞ্জুকে। ২৫ ডিসেম্বর তাকে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে খুলনা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, ৫ থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ওয়ার্ড কমিটির প্রায় ৫ শতাধিক নেতা পদত্যাগ করেন। বর্তমান মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটিতে তাদের কারোই জায়গা হয়নি। ওয়ার্ডের নতুন কমিটি থেকেও বাদ পড়েছেন তারা। দলের বিপুলসংখ্যক নেতাদের বাইরে রেখেই দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বিএনপি।
গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ১১ মাস পর বিএনপিতে সক্রিয় মঞ্জু
Published on
