প্রতিদিনের ডেস্ক
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। যেখানে কিউইদের ৭০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে ভারত। তবে সেমিফাইনাল মাঠে গড়ানোর আগেই মুম্বাইয়ের পিচ নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিলো। অভিযোগ করা হয়, নিজেদের সুবিধার্থে পিচ পরিবর্তন করেছে ভারত। পরে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করে আইসিসি। পিচ নিয়ে ওঠা এই বিতর্কের জেরে স্বাগতিক দেশ ভারতের বিপক্ষে যেভাবে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কার। পিচ নিয়ে সমালোচনাকারীদের ‘গাধা’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। এবং তাদেরকে মুখ বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর গাভাস্কার বলেন, ‘যে সব গাধারা ম্যাচের আগে পিচের পরিবর্তন নিয়ে বকবক করছিলো, আশা করব এবার তারা মুখ বন্ধ করে বসে থাকবে এবং কথায় কথায় ভারতের সমালোচনা করা বন্ধ করবে। পিচের পরিবর্তন নিয়ে কথা বলা এবার বন্ধ হোক। একই পিচে দুই দল খেলেছে।’ এখানেই থামেননি গাভাস্কার। তিনি বলেন, ‘ভাবুন একবার, দ্বিতীয় সেমিফাইনাল এখনও খেলাই হল না। এখন থেকেই কেউ কেউ বলছে আহমেদাবাদের পিচেও নাকি পরিবর্তন আনা হবে! ফাইনালে কোন দলকে মোকাবেলা করতে হবে সেটাই তো কেউ জানে না। যত সব উল্টোপাল্টা কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা।’ বুধবার সকালে বৃটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইলে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সে রিপোর্টে বলা হয়, ভারতে বিশ্বকাপের জন্য পিচ তৈরি করার দায়িত্ব অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের উপর। তার নেতৃত্বে আইসিসি এবং বিসিসিআই’র কয়েক জন পিচ প্রস্তুতকারক সব ম্যাচের উইকেট তৈরি করেন। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের জন্য একটি অব্যবহৃত পিচ বেছে নিয়েছিলেন অ্যান্ডি। সেই পিচ বদলে একটি ব্যবহৃত পিচে খেলা হবে বলে জানানো হয় রিপোর্টে। রিপোর্টে আরও বলা হয়, প্রথমে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৬ নম্বর পিচে খেলা হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু পরে তা বদলে ৭ নম্বর পিচ করা হয়েছে। এই পিচে এর আগে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হয়েচিলো। যে পিচে আগে খেলা হওয়ার কথা ছিল সেখানে ঘাস ছিল। কিন্তু যে পিচে খেলা হওয়ার কথা সেটি খুব মন্থর। মূলত ভারতীয় বোলারদের সুবিধা করে দিতেই নতুন পিচ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পিচ বদলের কথা হোয়াটস্অ্যাপ করে জানানো হয়ে অ্যন্ডিকে। সেখানে বলা হয়, বিশেষ একটি কারণে ৬ নম্বর পিচের জায়গায় ৭ নম্বর পিচে খেলা হবে। কী কারণ, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। ভারতের ম্যাচের মাঝেই আইসিসি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘এ ধরনের প্রতিযোগিতার শেষ দিকে পিচে বদল স্বাভাবিক ব্যাপার। আগেও এ ধরনের ঘটনা দেখা গেছে। আয়োজক দেশের যে মাঠে খেলা হচ্ছে, সেই মাঠের পিচ প্রস্তুতকারকের পরামর্শে পরিবর্তন হতে পারে। আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারককে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। পিচ বদল হলে যে সেই পিচে খেলা ভাল হবে না তার কোনও কারণ নেই।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘কোন পিচে খেলা হবে সেই পিচ বেছে নেওয়া ও এরপর তা তৈরি করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সংস্থা ও সেই সংস্থার পিচ প্রস্তুতকারকের। এ ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের।’
