বার্তাকক্ষ
জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ চলমান। অধিকাংশ চীনা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। এরই মধ্যে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য বিক্রীত পণ্যের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে হিকভিশনের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য নিরাপত্তাসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। খবর বিবিসি।
সম্প্রতি পেন্টাগনের নথিতে অভিযোগ সম্পর্কে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীনের প্রতিষ্ঠানটি। তবে বেইজিংয়ের কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে এর সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। সারভেইল্যান্স বা নজরদারির জন্য বিশ্বের অন্যতম ক্যামেরা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে হিকভিশন। চীন সরকারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সখ্য রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
যারা বিভিন্ন সরকার ও কোম্পানির কাছে পণ্য বিক্রি করে তাদের কাছে কোম্পানিটি সরবরাহ করে বলে জানানো হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এতে বিক্রেতার ‘ব্র্যান্ডিং’ থাকে। এ প্রক্রিয়া হোয়াইট লেবেলিং নামে পরিচিত। এটি একটি সাধারণ ব্যবসায়িক মডেল হলেও চীনা সরকারের সঙ্গে কোম্পানির সম্পর্ক ও উইঘুর সম্প্রদায়ের নজরদারিতে নিজেদের পণ্য ব্যবহার নিয়ে তীব্র তদন্তের মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিক আগে নিজেদের সরকারি সরবরাহ চেইন থেকে হিকভিশনের বিভিন্ন পণ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নভেম্বরে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য শঙ্কার কারণ দেখিয়ে এ পদক্ষেপ আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে জাতীয়ভাবে কোম্পানিটির পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেন দেশটির নিয়ন্ত্রকরা।
বিবিসির দেখা মার্কিন সরকারের ফাঁস হওয়া নথির তথ্য অনুসারে, কোম্পানিটি বিভিন্ন ‘ডিওডি (ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স) নেটওয়ার্ক দুর্বল করতে বেইজিংয়ের জন্য ভেক্টর তৈরি করছে।’ আর মার্কিন সরকারের সরবরাহ চেইনে হিকভিশনের বিভিন্ন পণ্যের উপস্থিতি সম্ভবত অব্যাহত থাকবে। নথিতে আরো দাবি করা হয়, জানুয়ারি থেকে হোয়াইট লেবেল করা বিভিন্ন হিকভিশন পণ্য এখনো মার্কিন গ্রাহকদের জন্য পাওয়া যাবে।
