গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহত মুন্সিগঞ্জের দু’জনের দাফন সম্পন্ন

0
10

বার্তাকক্ষ ,,রাজধানীর গুলিস্তানের ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ভবন থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মধ্যরাত ৩টার দিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বুধবার সকালে তাদের নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়।
নিহতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার মৃত সমির আখন্দের ছেলে মহিউদ্দিন আখন্দ (৫০) ও গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোজাম্মেল হক খোকার ছেলে আবু জাফর সিদ্দিক তারেক (৩২)। মহিউদ্দিন দুর্ঘটনাস্থলের মার্কেটের একটি স্যানেটারির দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। জাফর স্যানেটারি পণ্য ক্রয়ের জন্য ওই ভবনে গিয়েছিলেন বলে নিহতদের পরিবার সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বুধবার (৮ মার্চ) সকালে আধারার সৈয়দপুর আল আমিন দাখিল মাদরাসা মাঠে মহিউদ্দিন আখন্দের ও গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আবু জাফর সিদ্দিক তারেকের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্বজনহারাদের আহাজারি আর আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
নিহত মহিউদ্দিন আখন্দের ভাগনে দেলোয়ার জানান, তার মামা ক্যাফে কুইন ভবনে একটি দোকানে কয়েক বছর ধরে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। মাঝখানে তিনি নিজেই দোকান দিয়েছিলেন। পরে আবার সেই দোকান অন্যজনকে দিয়ে তিনি চাকরিতে ঢোকেন। তার দুই ছেলে। মামি ও মামাতো ভাইরা গ্রামে থাকতেন। মামা প্রতি সপ্তাহে আসা-যাওয়া করতেন। কাল বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে ফোন আসে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মামার।
অপরদিকে তারেকের বড় ভাই মাসুম জানান, বালুকান্দি গ্রামের বাড়ির কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য চাচাতো ভাই আওলাদকে নিয়ে মঙ্গলবার গুলিস্তানে গিয়েছিলেন তারেক। বিস্ফোরণে সেখানে দগ্ধ হন দুজন। তারেক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আওলাদ ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।