বার্তাকক্ষ
রাশিয়ার ১৫ জন দূতাবাস কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছে নরওয়ে। বৃহস্পতিবার নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, এই রুশ কর্মকর্তারা কূটনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন। মস্কো জানিয়েছে এর পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নরওয়ে সরকার জানিয়েছে, বহিষ্কারের পরিমাণ বর্তমানে অসলোতে স্বীকৃত রুশ কূটনীতিকদের এক-চতুর্থাংশ।
গত বছর ইউক্রেনে মস্কোর সর্বাত্মক আগ্রাসনের শুরুর পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোতে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সর্বশেষ ঘটনা এটি। চলতি বছর এখন পর্যন্ত রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে এস্তোনিয়া, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রিয়া।এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে নরওয়ে তিনজন রুশ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছিল।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানিকেন হুইটফেল্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নরওয়েতে রুশ গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের প্রতিরোধ ও মাত্রা কমানোর জন্য এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া বর্তমানে নরওয়ের জন্য সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কূটনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে কাজ করতে দেব না।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত রুশ কর্মকর্তাদের শিগগিরই নরওয়ে ছেড়ে যেতে হবে।রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বহিষ্কারের ঘটনায় পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছে
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য নরওয়ে। আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির সীমান্ত রয়েছে।
এই বহিষ্কারের ঘটনায় আর্কটিক কাউন্সিলের চেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এটি একটি বহুপাক্ষিক সংস্থা যেখানে আর্কটিক দেশগুলো মেরু অঞ্চলকে প্রভাবিত করার বিষয়ে আলোচনা করে।
মস্কো এই কাউন্সিলের বর্তমানে চেয়ার। তবে ১১ মে নরওয়ে চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নরডিক দেশটি এখনও রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।