Saturday, September 23, 2023
Homeআন্তর্জাতিকগ্লোবাল সাউথের সংকট ঢাকা পড়বে ইউক্রেন বিরোধে?

গ্লোবাল সাউথের সংকট ঢাকা পড়বে ইউক্রেন বিরোধে?

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

উদ্যোগ নেয়া হোক কার্যকরী

বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছে। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন বহন করার মতো...

নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিদিনের ডেস্ক ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু...

ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ: যা বিষেও মরছে না, দিশেহারা কৃষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কৃষকরা। তবে এবার...

চৌগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দ্বিতল ভবন, দূর্ঘটনার আশংকা

চৌগাছা সংবাদদাতা যশোরের চৌগাছা বাজারে জরাজীর্ণ একটি দ্বিতল ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ...

প্রতিদিনের ডেস্ক॥ চলতি বছরের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন হওয়ার কথা গ্লোবাল সাউথের সংকট নিয়ে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশ মনে করে গত বছর তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইস্যু ভুলে যাওয়া হয়েছিল। এবারও আশঙ্কা রয়েছে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ প্রধান মনোযোগ কেড়ে নিতে পারে
যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা স্বীকার করেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট গ্রুপ অব ৭৭ (জি-৭৭)-এর অগ্রাধিকারগুলোর প্রতি বৃহত্তর মনোযোগ না দিলে মস্কোর যুদ্ধের বিরোধিতায় সমর্থন হয়ত পাওয়া যাবে না।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিস) নিয়ে দুই দিনের বৈঠকের মধ্য দিয়ে সাধারণ অধিবেশনের ‘উচ্চ পর্যায়ের সপ্তাহ’ শুরু হবে। এই ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য ও অনাহার হ্রাস, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার সর্বজনীন বিধান। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় অর্ধেক পার হওয়ার পর মিলিত হচ্ছে সাধারণ পরিষদ। অথচ এই লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের অগ্রগতি মাত্র ১২ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করতে পারে। প্রায় ১০ কোটি শিশু স্কুলে যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে যে উন্নতি হয়েছিল তা পিছিয়ে গেছে। সোম ও মঙ্গলবারের সম্মেলনে এসব লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এসডিজিএস-এর প্রতি ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে। শুক্রবার কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সকে বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীরা চায় যুক্তরাষ্ট্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান তৈরি করতে চায়। কারণ তারা চায় উন্নয়নশীল দেশগুলো মনে করুক যে যুক্তরাষ্ট্র শুধু বড় শক্তির লড়াইয়ের প্রতি মনোযোগী। কারণ তারা তুলে ধরতে চায় যুক্তরাষ্ট্র এসডিজিএস নিয়ে শুধু মুখেই কথা বলে।
এবারের এসডিজিএস সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে জাতিসংঘের এই পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় সমর্থক দেশ হিসেবে হাজির করার চেষ্টা করবে। এছাড়া জো বাইডেন ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার যৌথ ঘোষণা দিতে পারেন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিয়ে। যা লাতিন আমেরিকার শক্তিধর দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ করার আগ্রহের প্রকাশ।
বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস একটি জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করবেন। এমন সময় তিনি এই আয়োজন করছেন যখন ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির নির্ধারিত লক্ষ্য বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করা থেকে বিশ্ব অনেক দূরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পর্যায়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথমবারের মতো ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সশরীরে জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণ দেবেনে। তার ভাষণের প্রতি বিশ্বের নজর থাকবে। মঙ্গলবার সকালে ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের পর তিনি ভাষণ দিতে পারেন। বুধবার তিনি নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দেবেন। একই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
একই টেবিলে তাদের উপস্থিতিতে ব্যক্তিগত সংঘাতের আশঙ্কা খুব বেশি নেই। গত বছর ল্যাভরভ নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিয়েই চলে যান। তবে অপরিকল্পিত মুখোমুখি অবস্থান যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জাতিসংঘ পরিচালক রিচার্ড গোয়ান বলছেন, যখন জি-৭৭ দেশগুলোর পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির চাপ জোরালো হচ্ছে তখন জাতিসংঘ অধিবেশনে জেলেনস্কির হাজির হওয়া বাজি ধরার মতোই। ঝুঁকির বিষয়টি আমাদের খাটো করে দেখা উচিত না। জেলেনস্কি সাধারণ অধিবেশন ও নিরাপত্তা পরিষদে যদি বলেন আমাদের লড়াই করতে হবে, এখন কূটনীতির সময় নয়। আমার মনে হয় তখন তিনি অনেক বিরোধিতার মুখে পড়বেন।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও তাদের মিত্ররা জি-৭৭ দেশগুলোতে রুশ আগ্রাসনের প্রভাব তুলে ধরতে গুরুত্ব দেবে। বিশেষ করে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রফতানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার ভূমিকা তারা তুলে ধরবে। জুলাই মাসে চুক্তি থেকে রাশিয়া বেরিয়ে যাওয়ার পর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে এর প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের দরিদ্রতম কয়েকটি দেশে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তুরস্কের মধ্যস্থতা ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনের সমর্থকরা ইস্যুটি নিয়ে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াবে। তবে রাশিয়া অবস্থান পাল্টাবে বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা।এবারের অধিবেশনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে শীর্ষনেতা হিসেবে শুধু জো বাইডেন সশরীরে হাজির হবেন। পুতিন ও শি জিনপিং অতীতে নিয়মিত ছিলেন না। কিন্তু এই বছর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও অনুপস্থিত থাকবেন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

কানাডাসন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল

প্রতিদিনের ডেস্ক কানাডাকে ‘সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল’ বলে অভিহিত করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র...

বিশাল ঢেউয়ে সাগরে ভেসে গেল সাবমেরিনের ৭ সেনা

প্রতিদিনের ডেস্ক সাগরে বিশাল ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সাবমেরিনের সাত সেনা ভেসে গেছেন...

বাইডেনকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে মোদির আমন্ত্রণ

প্রতিদিনের ডেস্ক ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আগামী ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় প্যারেডে প্রধান অতিথি আমন্ত্রণ...