প্রতিদিনের ডেস্ক
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার আকস্মিক প্রয়াণে বিষণ্ণ হয়ে আছে চলচ্চিত্র ও শিল্প অঙ্গনের মানুষের মন। কেননা পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি এই ভুবনে মিশে ছিলেন। ১৯৮০ সালের সিনেমা ‘ঘুড্ডি’র জন্য খ্যাতি পেয়েছেন সালাহউদ্দিন জাকী। এই ছবিতে নায়কের ভূমিকায় কাজ করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ। কালজয়ী ছবিটির সূত্র ধরেই তার সঙ্গে আলাপ করতে চায় বাংলা ট্রিবিউন। তবে কিছুটা বিরক্তির সুরেই জানালেন, এমন অবস্থায় ছবির গল্প-বিশ্লেষণ করতে চান না। বরেণ্য এই অভিনেতা বলেন, ‘তার সঙ্গে কাজের স্মৃতি, বিচার-বিশ্লেষণ এখন জানতে চাইবেন না। একটু সময় দিন। যার সঙ্গে দিন-রাত কাজ করেছি, আড্ডা দিয়েছি, এত দিনের সম্পর্ক; সেই মানুষটা চলে গেছেন। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আছি। কিছু দিন সময় যাক। তখন তার কাজ নিয়ে বিস্তারিত বলবো।’রাইসুল ইসলাম আসাদ জানান, সালাহউদ্দিন জাকীর সঙ্গে তার পাঁচ দশকের বেশি সময়ের সম্পর্ক ছিল। তার ভাষ্য, ‘তাকে নিয়ে কী বলবো। বলার তো কিছু নাই আসলে। তার সঙ্গে প্রায় ৫০-৫২ বছরের পরিচয়, মেলামেশা, কাজ। সোজা কথায়, আমি তো তার অ্যাসিসট্যান্ট। একসঙ্গে একাধিক সিনেমায় কাজ করেছি, থিয়েটার করেছি, চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের কাজ করেছি।’শেষ দেখার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ খ্যাত অভিনেতা বললেন, ‘প্রায়ই দেখা হতো, কথা হতো। এইতো কয়েক দিন আগেই শেষ দেখা হয়েছিল। এমনিতে তিনি অনেক দিন ধরেই তো অসুস্থ ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারতেন না। তবে গতকাল (১৮ সেপ্টেম্বর, মৃত্যুর দিন) দিনভর সুস্থই ছিলেন। হঠাৎ রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আর ফিরলেন না।’‘ঘুড্ডি’র দৃশ্যে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুবর্ণা মুস্তাফা উল্লেখ্য, ‘ঘুড্ডি’ সিনেমায় রাইসুল ইসলাম আসাদের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। এটিকে ঢালিউডের সাদাকালো যুগের সবচেয়ে আধুনিক ছবি বলে মনে করেন অনেকে। ছবিটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন সালাহউদ্দিন জাকী। এই ছবির ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি বর্তমান প্রজন্মের কাছেও তুমুল জনপ্রিয়।
