প্রতিদিনের ডেস্ক
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠান জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড পরিদর্শন এবং ২০২৩-২৪ মৌসুমের আখ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। এ সময় তিনি সাধারণ আখ চাষি, নেতৃবৃন্দ, চিনিকলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন এবং চিনি কল সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এর আগে সচিব জিল বাংলা সুগার মিলের উদ্যোগে জিবাসুমি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গুণগত মানসম্পন্ন আখ উৎপাদন ও ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুর রহমান অপু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন, চিনি শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চিনি শিল্পকে উচ্চস্থানে নিয়ে যেতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, চিনি শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনতে আখ চাষে কৃষকের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আখের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতিমণ আখ ২২০ টাকা করা হয়েছে। আসন্ন ২০২৩-২৪ মৌসুমে মণ প্রতি ২৪০ টাকা প্রদান করা হবে। কৃষকদের মাঝে সরকারিভাবে ভালো জাতের আখের বীজ ও সার সরবরাহ করা হচ্ছে। বিকাশের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষকদের আখের মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল আখ চাষের পাইলটিং করে একর প্রতি আখ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। সচিব আরো বলেন, ‘বন্ধু সেবা’ অ্যাপস চালু করা হয়েছে যাতে প্রায় ৬৫ হাজার আখ চাষি যুক্ত আছে। এর মাধ্যমে কৃষকরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাচ্ছেন। যে ছয়টি চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ আছে আখ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারলে সেগুলো পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের কাছে সরকারের পাওনা টাকা বা ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং এই ঋণের উপর যেন বছর বছর সুদ যুক্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ যেমন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি চিনি শিল্পসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে এগিয়ে যেতে পারি সেলক্ষ্যে আমাদের সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে স্থাপিত জিল বাংলা সুগার মিলে ২০২২-২৩ মৌসুমে আখ থেকে চিনি রিকোভারির হার ছিল ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। ২০২৩-২৪ মৌসুমে এ চিনি কলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজর ৭৯৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন। এতে আখ থেকে চিনি রিকোভারির হার হবে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
