চ্যাটজিপিটির মতো চুরির মাধ্যম শিক্ষা ব্যবস্থার শত্রু

0
13

বার্তাকক্ষ ,,সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি। এর মাধ্যমে যেকোনো ডিভাইসে মুহূর্তেই যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এই চ্যাটবট মানুষের মতো যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, কমান্ড দিলে লিখে দিতে পারে প্রবন্ধ, গল্প-কবিতা বা এঁকে দিতে পারে ছবিও।এমন আগ্রাসী প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক নিয়ে একমত বিখ্যাত মার্কিন ভাষাতাত্ত্বিক ও বুদ্ধিজীবী নোয়াম চমস্কি। চ্যাটজিপিটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে তার মত।
চমস্কির মতে, স্কুল-কলেজ ছাত্রদের এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলছেন, চ্যাটজিপিটি মূলত উচ্চপ্রযুক্তি সক্ষমতাসম্পন্ন চুরির মাধ্যম। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও চিন্তার পরিশ্রম থেকে বাঁচতে এর আশ্রয় নিতে পারে।
এডুকিচেন নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে এ সম্পর্কিত একটি আলোচনায় মন্তব্য করেন চমস্কি।
তিনি বলেন, যদি শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে না পারে এবং তাদের চ্যালেঞ্জ না করে তাহলে এ জাতীয় ‘‌উপায়গুলো’ পড়াশোনার কাজটি করে দিতে পারবে।অ্যাপটি আসার পরপরই অভিনব সব গল্প ভাইরাল হয়েছে। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র বিশ মিনিটে পরীক্ষা শেষ করেন এবং সফলভাবে উৎরেও যান। এমনকি চ্যাটবটটি নিজেও একটি মার্কিন আইন স্কুলের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে।
মার্কিন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্ক ও সিয়াটলের কিছু পাবলিক স্কুল চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করেছে। অন্যদিকে, একটি ফরাসি বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে দিয়েছে, তারা যদি এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তবে বহিষ্কার করা হতে পারে। এছাড়া ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি বিশ্ববিদ্যালয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অর্থাৎ এরই মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।