Thursday, September 28, 2023
Homeসম্পাদকীয়জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টিও ভাবা উচিত

জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টিও ভাবা উচিত

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

একাদশে ভর্তিতে বাড়তি ফি নেয়া বন্ধ

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় বাড়তি ফি আদায়ের নৈরাজ্য দেখা যায়।...

ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

মো. মহিউদ্দীন, ঝিনাইদহ “তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক...

বটিয়াঘাটায় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক আমন ধানের ফসল নষ্ট

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের গজালিয়া মৌজায় কৃষকের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে প্রায় ৪বিঘা...

শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে সরকার বদ্ধ পরিকর : এমপি রণজিৎ

শান্ত দেবনাথ, বাঘারপাড়া যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের...

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে শিল্পে গ্যাসের দামও বেড়েছে সরকারের নির্বাহী এক আদেশে। এবার গ্রাহকদের চুলার বিল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে বড় ধরনের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে ভোক্তা পর্যায়ে। এতে করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হবে সরকারকে। ফলে বেড়ে যাবে জীবনযাত্রার ব্যয়। এর চাপ পড়বে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর। দুই চুলায় মাসিক গ্যাসের বিল ৫১২ টাকা বাড়াতে চায় বিতরণ সংস্থা। আর এক চুলায় মাসে ৩৯০ টাকা। গত জুনে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বাড়ায় জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এ সময় প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৮ টাকা করা হয়। তবে মিটার ছাড়া গ্রাহকদের জন্য মাসে গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে দুই চুলায় ৬০ ঘনমিটার ও এক চুলায় ৫৫ ঘনমিটার ধরা হয়। এতে দুই চুলার মাসিক বিল ১ হাজার ৮০ ও এক চুলার বিল ৯৯০ টাকা ঘোষণা করা হয়। ১০ মাস পর তিতাস এ বিল মানছে না। নতুন করে বিল বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে ধরে। তিতাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অভিযোগ রয়েছে, তিতাস বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎ করে আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। তিতাস অবৈধ গ্যাস বা চুরি ঠেকাচ্ছে না। উল্টো অবৈধ লাইন দিচ্ছে। ২০১৫ সালের মধ্যে প্রিপেইড মিটার বসানোর কথা ছিল। মিটার লাগাচ্ছে না। তারা কিছু মিটার লাগানোর পর তা আবার খুলেও নিয়ে গেছে। ভয়ংকর অব্যবস্থাপনা রয়েছে কোম্পানিতে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য দেখানো হচ্ছে অদ্ভুত সব যুক্তি। বাসাবাড়িতে নতুন করে গ্যাস সংযোগ তো বন্ধ করেছেই, এখন পাইপলাইন গ্যাসের ব্যবহারও নিরুৎসাহিত করতে চায়। দেশের অধিকাংশ মানুষ পাইপলাইনের গ্যাস পায় না। তাদের অনেকেই বিকল্প হিসেবে এলপি গ্যাস ব্যবহার করে, যার দাম অনেক বেশি। এই দুধরনের ব্যবহারকারীর মধ্যে বৈষম্য কমানোও সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। সে কারণে নাকি বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম বেশি বাড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো- পাইপলাইনের গ্যাস ও সিলিন্ডার গ্যাসের দামের ব্যবধান কমাতে পাইপের গ্যাসের দাম বাড়াতে হবে কেন? সিলিন্ডারের গ্যাস সুলভ ও সহজলভ্য করার কথা তো সরকার থেকে অনেকদিন ধরেই বলা হচ্ছে। কিন্তু তার তো কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতেও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে করে গ্যাসনির্ভর শিল্পোৎপাদনের ব্যয়ের সঙ্গে উৎপাদিত পণ্যমূল্যও বেড়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ানো হলে নিত্যপণ্যের দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে চিন্তার বিষয়। গ্যাসের অপচয় বন্ধ করা, সুপরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে স্রেফ দাম বাড়ানো কোনোভাবেই যৌক্তিক চিন্তা নয়। ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন না ঘটিয়ে শুধু দাম বাড়িয়ে লাভ-লোকসানের হিসাব মেলানোর প্রবণতা থেকে সরে আসা উচিত সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর। সরকারকে জনসাধারণের সার্বিক দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে মনে করি।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

একাদশে ভর্তিতে বাড়তি ফি নেয়া বন্ধ

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় বাড়তি ফি আদায়ের নৈরাজ্য দেখা যায়।...

এ মৃত্যুর দায় কার?

একসময় রাজনৈতিক ও সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হরহামেশাই বড় ধরনের খুনের ঘটনা ঘটত।...

সংখ্যালঘু কমিশন এবার বাস্তবায়ন হোক

বিভিন্ন সময় দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, অবৈধভাবে ভূমি দখল ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার...