বার্তাকক্ষ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামালপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ৩টি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। জেলার ইসলামপুর ও মেলান্দহ স্টেশন থেকে ট্রেনে করে এসব গবাদি পশু নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় ২৫টি ওয়াগনে ৪০০ গরু নিয়ে ইসলামপুর বাজার স্টেশন ছেড়ে যায় প্রথম ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন।একই দিন ইসলামপুর থেকে প্রথম ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।জানা যায়, প্রতিটি ট্রেনে ২৬টি করে ওয়াগন থাকবে, এরমধ্যে ২৫টি ওয়াগনের প্রত্যেকটিতে ১৬টি করে গরু নিয়ে যাওয়া হবে। এ বছর ইসলামপুর থেকে ৬২টি ও মেলান্দহ স্টেশন থেকে ৬টি ওয়াগন বুকিং করেছে গরু ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি ওয়াগনের ভাড়া ৮ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ট্রেনের ২৫টি ওয়াগনে ১৬টি করে মোট ৪০০টি গরু ছিল।
শনিবার রাত ৯টায় ইসলামপুর থেকে ছেড়ে যায় আরও একটি ট্রেন। সেখানে ১৯টি ওয়াগনে ১৬টি করে মোট ৩০৪টি গরু ছিল। পরে মেলান্দহ স্টেশন থেকে আরও ৬টি ওয়াগনে ১৬টি করে ৯৬টি গরু নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় পথে রওনা করে। গতবছরের চেয়ে এবছর চাহিদা বেশি থাকায় দুইদিন এ সার্ভিস চালু থাকবে।
গরু ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া, সামাদ মিয়া, বছির সেখসহ আরও অনেকেই বলেন, এ সেবাটি চালু থাকায় আমরা অনেক খুশি। আগে এক ট্রাক গরু ঢাকা নিয়ে গেলে খরচ হতো ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। এখন মাত্র আট হাজার টাকায় ১৬টি গরু এক ওয়াগনে আরামে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে।
ইসলামপুর উপজেলার সিরাজাবাদ এলাকায় গরু ব্যবসায়ী কুদ্দুছ ব্যাপারী বলেন, রাস্তাঘাট দিয়ে গরু নিয়ে গেলে অনেক জায়গায় চাঁদা দিতে হতো। রাস্তার ঝাঁকুনিতে গরুর অবস্থাও খুবই খারাপ হয়ে যেতো। ট্রেনে গেলে তেমন কোনও ঝামেলা হয় না।
ইসলামপুর বাজার রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া বলেন, ২০২০ সাল থেকে কম খরচে কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য ক্যাটেল স্পেশাল নামে বিশেষ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, ট্রেনে পশু পরিবহনে খরচ কমার পাশাপাশি এড়ানো যাবে ভোগান্তি, এছাড়া এই পরিবহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কম। একইভাবে রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আরও একটি পশুবাহী ট্রেন ছেড়ে যাবে।
