Saturday, September 23, 2023
Homeশহর-গ্রামবাগেরহাটটানা ছুটিতেও পর্যটক নেই সুন্দরবনে

টানা ছুটিতেও পর্যটক নেই সুন্দরবনে

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

উদ্যোগ নেয়া হোক কার্যকরী

বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছে। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন বহন করার মতো...

নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিদিনের ডেস্ক ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু...

ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ: যা বিষেও মরছে না, দিশেহারা কৃষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কৃষকরা। তবে এবার...

চৌগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দ্বিতল ভবন, দূর্ঘটনার আশংকা

চৌগাছা সংবাদদাতা যশোরের চৌগাছা বাজারে জরাজীর্ণ একটি দ্বিতল ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ...

মোংলা সংবাদদাতা
বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি ও সৌন্দর্য উপভোগে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। কিন্তু এবার পূজার টানা ছুটিতে ছিল ভিন্ন চিত্র। পূজার ছুটিসহ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সাপ্তাহিক ছুটিতেও সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলে পর্যটকের তেমন দেখা মেলেনি। মাত্র ৪৫০ থেকে ৫০০ জন পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। এরআগে, পূজার ছুটিতে বুধ ও বৃহস্পতিবার এসেছেন মাত্র ৩৫০ জন। করমজল বন্যপ্রাণী ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পূজার ছুটিতে যে হারে পর্যটক আসার কথা ছিল তার দেখা মেলেনি। মাত্র ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ পর্যটক এসেছেন। অথচ অন্তত দুই থেকে তিন হাজার দর্শনার্থী হওয়ার আশা করেছিলাম। সেভাবে আমরা প্রস্তুতও ছিলাম। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিতেও পর্যটকের তেমন দেখা মেলেনি। ৪৫০ থেকে ৫০০ জনের মতো এসেছেন। এ সময় কেন পর্যটকরা আসছেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে আমরা মনে করেছিলাম পূজার ছুটিতে পর্যটকদের বেশ ধাক্কা আসবে। কিন্তু হলো না!
জানা গেছে, সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়ীয়া, হিরণ পয়েন্ট, কটকা-কচিখালী ও দুবলাসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট রয়েছে। এসব পর্যটনস্পট ঘিরে বিভিন্ন উৎসবসহ শীতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এমনকি পর্যটকদের ঢলে হিমশিম খেতে হতো বনপ্রহরীদের। কিন্তু এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন অনেকে। তবে ভ্রমনে অব্যবস্থাপনা, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধার অভাব, দর্শনীয় এলাকাগুলো আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে না তোলাসহ নানা কারণেই ভ্রমণ পিপাসুরা আকৃষ্ট হচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ রয়েছে তাদের আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটন খাত। সুন্দরবনে দর্শনীয় স্পটগুলোকে সেভাবে গড়ে তুলতে পারলে আমাদেরও এ খাত থেকে বড় ধরনের রাজস্ব আয় করা সম্ভব। এজন্য সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে পর্যটক টানতে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটন স্পটগুলো আকর্ষণীয় করতে ২৫ কোটি টাকার বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যেগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ: যা বিষেও মরছে না, দিশেহারা কৃষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কৃষকরা। তবে এবার...

চৌগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দ্বিতল ভবন, দূর্ঘটনার আশংকা

চৌগাছা সংবাদদাতা যশোরের চৌগাছা বাজারে জরাজীর্ণ একটি দ্বিতল ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ...

শ্যামনগরে যাতায়াতে জনদুর্ভোগের গ্রামের নাম পূর্ব জেলেখালি

উৎপল মণ্ডল,শ্যামনগর সাতক্ষীরা শ্যামনগরে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব জেলেখালি গ্রামের ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা কয়েক...