বার্তাকক্ষ
আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনে ঈদযাত্রা। যেসব যাত্রী অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি তাদের জন্য ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট রাখা হয়েছে। তবে যাত্রা শুরুর দিনে স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটায় বাড়তি চাপ দেখা যাচ্ছে না।শনিবার (২৪ জুন) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই ট্রেন যাত্রাকে বেছে নেন। এ বছর ঈদুল আজহার ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। ঈদযাত্রা শুরুর দিনে স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারছেন যাত্রীরা। অনলাইনে যেসব যাত্রী টিকেট পেয়েছেন তারা আগেই স্টেশনে প্রবেশ করছেন। আর যেসব যাত্রীরা অনলাইনে আগে টিকিট কাটেননি তারা স্টেশনে এসে স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটছেন। তবে স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটায় নেই তেমন ভোগান্তি।
কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ১ থেকে ৬ নং কাউন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট। কাউন্টারগুলোতে নেই তেমন লাইন। ফলে সকাল থেকে যারাই টিকেট কাটতে আসছেন তারা ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট পাচ্ছেন।
মো. শিপন নামের এক ব্যক্তি বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটিনি। জরুরি ভিত্তিতে আজ চলে যাচ্ছি তাই স্টেশনে এসেই টিকিট কাটলাম। সিলেটে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। জয়ন্তিকা ট্রেনের স্ট্যান্ডিং একটা টিকিট কেটেছি।
শাহরিয়ার নামের আরেক যাত্রী বলেন, সবাই জানে অনলাইনে টিকট কাটাতে হয়। তাই যারা কাটতে পারেননি তারা হয়তো আর স্টেশনে আসেননি। স্টেশনে এসে কাউন্টারেও কিছু টিকিট পাওয়া যায় এবং কাউন্টারে একটু চাপ কম। সহজেই কাউন্টার থেকে টিকিট পেয়েছি।
স্টেশনে টিকিট বিক্রির বিষয়ে কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, আমরা ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট কাউন্টার থেকে দিচ্ছি। অনলাইনে যারা টিকিট কেটেছেন তাদের স্টেশনে প্রবেশে যেন কোন অসুবিধা না হয়, সেজন্য এবার আমরা অন্য পাশে ১ থেকে ৬ নং কাউন্টার থেকে এই টিকিটগুলো দিচ্ছি। সকাল থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাপ কিছুটা কমই দেখা যাচ্ছে।
