Friday, December 8, 2023
Homeরাজনীতিঢাকা-৩ সমস্যা গ্যাস-দূষণ, মনোনয়নে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নসরুল হামিদ

ঢাকা-৩ সমস্যা গ্যাস-দূষণ, মনোনয়নে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নসরুল হামিদ

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ার কারণ জানালেন বিশেষজ্ঞরা

প্রতিদিনের ডেস্ক বর্তমান সময়ে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে কম...

কোলেস্টেরল বেড়েছে? এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার

প্রতিদিনের ডেস্ক জীবনযাপনে ব্যাপক অনিয়মের কারণেই মানুষের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ,...

নির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে অস্ত্র উদ্ধার জরুরি

আগামী শনিবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চিহ্নিত...

গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস

তাহমিনা আক্তার ২ লাখ মা-বোনের সম্ভম আর ৩০ লাখ শহীদের রক্ত রাঙা আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা।...

প্রতিদিনের ডেস্ক॥ জাতীয় সংসদের ১৭৬ নম্বর আসন ঢাকা-৩। জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, আগানগর, তেঘরিয়া, কোন্ডা ও শুভাঢ্যা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসন। এলাকায় গ্যাসের সমস্যা বেশ প্রকট। রাস্তাঘাট কিছু কিছু সরু ও ভাঙাচোরা। অনেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও এলাকার খালটি এখনো ধুঁকছে। রয়েছে দূষণ। তবে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ পাশে পান টানা তিনবারের এমপি নসরুল হামিদকে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
আসনটির গত ছয়টি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনটিতে আওয়ামী লীগ ও তিনটিতে বিএনপি জয়ী হয়েছে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ মেয়াদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বর্তমান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী আমানউল্লাহ আমান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসনটিতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ। টানা তিনবারের এই এমপির বিপরীতে মনোনয়ন নিতে চান না আওয়ামী লীগের কোনো নেতা।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, নেতৃত্ব, উন্নয়ন ও নেতাকর্মীদের প্রতি ভালোবাসা থাকার কারণে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলের প্রতিটি নেতাকর্মী তাকে পছন্দ করেন। তাই তার বিপক্ষে কেউ নিজেকে যোগ্য মনে করেন না। এজন্যই কেউ মনোনয়ন নিতে চান না।
সংসদীয় এ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরু রাস্তা ও গ্যাস সংকট এ এলাকার অন্যতম প্রধান সমস্যা। এছাড়া নদীদখল ও দূষণ, সরকারি মেডিকেল কলেজের অভাব রয়েছে এলাকাটিতে।
আগে সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিকভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হতো। আমি এগুলোকে প্রশ্রয় দেইনি। এলাকার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকাজ করেছি। এখানে ১৩টি খেলার মাঠ দখলমুক্ত করেছি। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এলাকার উন্নয়নকাজ চলছে। আমি মনে করি আগামীতেও কেরানীগঞ্জের মানুষ আমাকে ভোট দেবে এবং শেখ হাসিনার পাশে থেকে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করবে।- নসরুল হামিদ
নৌকায় বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে এলাকায় ঢুকতেই সরু রাস্তা। এসব রাস্তায় ইঞ্জিনচালিত রিকশার আধিক্য। অনেক সময় যানজট লেগে এসব রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বুড়িগঙ্গা নদী থেকে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সামনে দিয়ে প্রবাহিত খালের করুণ দশা। দখল আর দূষণে খালের অবস্থা মৃতপ্রায়। স্থানীয় জনগণ থেকে শুরু করে যে যার মতো ময়লা ফেলে এ খালে। একসময় সেখানে নৌকা চলাচল করলেও এখন তা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও খাল দখল করে দুপাশ দিয়ে অবৈধ অনেক স্থাপনা দেখা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সোহেল বলেন, এ খালে এলাকার সবাই ময়লা ফেলে। বারবার বলেও বন্ধ করা যায় না। দুর্গন্ধে মাঝে মধ্যে দাঁড়ানো যায় না। ময়লা ফেলতে ফেলতে খাল এখন মরে গেছে। আগে তো এখান দিয়ে নৌকা চলতো। এখন দেখলে মনে হয় ময়লার ভাগাড়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোকাররম হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ ভালোই সার্ভিস দেয় এসব এলাকায়। কিন্তু গ্যাস থাকে না। একদিকে গ্যাসের বিলও দিতে হয় আবার সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়। গ্যাস সমস্যার সমাধান হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।
শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নে এক লাখ ৪৫ হাজার ভোটার। বর্তমান এমপির নেতৃত্বে আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠক করছি। এ আসনে নৌকা ছাড়া বিকল্প নেই। আমার এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কবরস্থান, মসজিদ, মন্দির, খেলার মাঠসহ সবকিছুর উন্নয়ন হয়েছে। শুভাঢ্যা খাল নিয়ে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সব দখল উচ্ছেদ হয়ে যাবে। খাল দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হবে। গ্যাসের লাইনের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে এ সমস্যাও ঠিক হয়ে যাবে।
শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য তারানা চৌধুরী বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের প্রচার-প্রচারণা বেড়েছে। প্রতিটি মহল্লায় আমরা নৌকার কথা বলছি। জনগণ আওয়ামী লীগের পাশে আছে।
তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাট মিয়া বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। গরিব মানুষেরা অনেক সহায়তা পেয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। তাই অন্য কোনো প্রার্থী নেই। আমরা আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে নব্বই শতাংশ আশাবাদী।
দখল আর দূষণে মৃতপ্রায় খাল সম্পর্কে এই ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগে খালে নৌকা চালিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে যাতায়াত করা যেত। খালের সংস্কার হলে এই নৌ-রুট আবার চালু হবে। তাছাড়া সদরঘাট থেকে কালীগঞ্জ বাজার হয়ে হাইওয়ে পর্যন্ত সড়ক পুনঃনির্মাণ হলে জনগণের ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে।
কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, তৃণমূল পর্যন্ত আমাদের আওয়ামী লীগসহ সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের কমিটি করা হয়েছে। তারাই আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা তৃণমূলে পৌঁছে দিচ্ছেন। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের প্রচারণা চলছে। মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ নেত্রীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। সাংগঠনিকভাবে আমরা খুবই উজ্জীবিত। আমরা উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম ই মামুন বলেন, আমাদের আসনে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী নসরুল হামিদ। আমাদের এ আসনে পাঁচটি ইউনিয়ন, ৪৫টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং নয়টি সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। আমরা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী।
আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলীয় সভানেত্রী যার ওপর আস্থা রেখেছেন আমরাও তার ওপর আস্থা রেখেছি। মূল বিষয়টা হলো তিনি জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন, চাহিদা শতভাগ পূরণ করতে পারছেন এজন্য সবাই তার ওপর আস্থাশীল।
সমস্যা গ্যাস-দূষণ, মনোনয়নে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নসরুল হামিদ
আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আগে সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিকভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হতো। আমি এগুলোকে প্রশ্রয় দেইনি। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। এ এলাকার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ করেছি। যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখার জন্য ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে জোর দিয়েছি। এখানে ১৩টি খেলার মাঠ দখলমুক্ত করেছি। সেখানে এখন খেলাধুলার আয়োজন হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এলাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। আমি মনে করি আগামীতেও কেরানীগঞ্জের মানুষ আমাকে ভোট দেবে এবং শেখ হাসিনার পাশে থেকে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করবে।
আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী না থাকর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে দল-মত নির্বিশেষে আমাকে বিশ্বাস করে, ভালোবাসে।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

দল থেকে ভাগাতে নেতাকর্মীদের রিমান্ডে নির্যাতন করা হচ্ছে: রিজভী

প্রতিদিনের ডেস্ক দল থেকে ভাগাতে রাজপথের বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে...

মুরগির বাচ্চাও বিএনপির টার্গেট: কাদের

প্রতিদিনের ডেস্ক বিএনপির নাশকতার মাত্রা আরও বিস্তৃত ও ভয়াবহ হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট...

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন বণ্টনের কোনো কথা হয়নি: চুন্নু

প্রতিদিনের ডেস্ক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন বণ্টনের কোনো...