Friday, December 8, 2023
Homeসম্পাদকীয়তৈরি পোশাক খাতে সংকটের ধ্বনি

তৈরি পোশাক খাতে সংকটের ধ্বনি

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন তৃপ্তি

প্রতিদিনের ডেস্ক পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি নির্মাণ করেছেন ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা। এতে জোয়া চরিত্র রূপায়ণ করেছেন তৃপ্তি...

গুঞ্জন

প্রতিদিনের ডেস্ক গুঞ্জন রটেছে চুপিসারে বিয়ে করছেন অভিনেত্রী কেয়া পায়েল। গাঁটছড়া বাঁধতে সোজা উড়ে গেছেন...

আজকের রাশিফল

আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্য মতে আপনি ধনু রাশির জাত ব্যক্তি। আপনার ওপর...

বিজয় দিবসে বিমানের টিকিটে ১৬ শতাংশ ছাড়

প্রতিদিনের ডেস্ক মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সব রুটের টিকিটে ১৬ শতাংশ ছাড়...

হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও নৈরাজ্যে দেশের সম্ভাবনাময় পোশাক খাত নতুন করে হুমকিতে পড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধ এবং গাজীপুরে গত কয়েক দিন ধরে শ্রমিকদের আন্দোলন, ভাঙচুর, সড়ক অবরোধে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এক দিনের হরতাল, অবরোধে দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিক ক্ষতি প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। এর সিংহভাগই বহন করতে হচ্ছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পকে। এই পরিস্থিতি ব্যবসার বাধা আরো বাড়িয়ে দেবে এবং অর্থনীতিকে আরো পিছিয়ে দেবে। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। জানা গেছে, অনাকাক্সিক্ষত হরতাল-অবরোধের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়ে ঢাকা চেম্বার ২০১৩ সালে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, প্রতিদিন হরতালের কারণে ক্ষতি হয় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে সিপিডি তাদের গবেষণায় দেখিয়েছিল, এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। আমাদের অর্থনীতির আকার আগের তুলনায় অনেক বড় হয়েছে। সে কারণে এটা বলা যায়, চলমান হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বড় হবে। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৈরি পোশাক খাত। করোনার প্রাদুর্ভাবে স্থগিত ও বাতিল হওয়া ক্রয়াদেশও ফিরে আসছে। ফলে বাড়ছে রপ্তানি। এখন নতুন করে সংকটে পড়তে পারে এ খাত। বিনিয়োগ প্রবাহ বজায় রাখার জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে ২০তম অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য দ্রুত শিল্পায়নের দিকে যেতে হবে। বাংলাদেশ যে বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে, তা আমরা অনেক সূচকের উন্নতির দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে ভৌগোলিকভাবে কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার কারণে বাংলাদেশও বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অন্যতম আদর্শ গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সময়ের প্রয়োজনে অত্যন্ত দ্রুত পরিবর্তনশীল ভোক্তা চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের বহুমুখীকরণ বা বৈচিত্র্যসাধন, কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হলে পোশাকশিল্প দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। সেই প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে হবে। অনেক চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে গত কয়েক দশকের পথপরিক্রমায় দেশের তৈরি পোশাকশিল্প আজকের এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অনেক প্রতিকূলতা এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প এগিয়ে যাচ্ছে অগ্রগতির পথে। দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করতে পোশাকশিল্পের কোনো বিকল্প নেই। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদেশ থেকে যে রেমিট্যান্স আসছে তার অন্যতম খাত হলো গার্মেন্টস শিল্প। প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক অর্থ আয় করছে। যে কোনো দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে সে দেশের শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্ব পোশাক বাজার এখন ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ এর মাত্র ৫ শতাংশ সরবরাহ করে। এ হার ৮ শতাংশে উন্নীত করতে পারলেই ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। এই টার্গেট পূরণে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আন্তরিক ও বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন। প্রয়োজন রাজনীতিক সহাবস্থান এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা জরুরি।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

নির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে অস্ত্র উদ্ধার জরুরি

আগামী শনিবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চিহ্নিত...

শিশুশ্রম বন্ধে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি

শিশুশ্রম রোধে সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ যেন কাজে আসছে না। দিন দিন যেন শিশু শ্রমিকের...

কী হবে এই সংঘাতের ভবিষ্যৎ

গাজায় আবারো জোরেশোরে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির পর তিন দিন ধরে গাজায় হামলা...