Thursday, June 1, 2023
Homeশহর-গ্রামবাগেরহাটদুধের জন্য কাঁদতে কাঁদতে থেমে গেছে শিশু সুমি!

দুধের জন্য কাঁদতে কাঁদতে থেমে গেছে শিশু সুমি!

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

নতুন আইফোনে অপরিবর্তিত থাকবে ক্যামেরা ও ডিসপ্লে

বার্তাকক্ষ আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের উন্মোচনকে ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ জেগেছে অ্যাপলপ্রেমীদের মধ্যে। সম্প্রতি স্মার্টফোনবিষয়ক তথ্যদাতা...

সেলফ রিপেয়ার প্রোগ্রাম চালু করছে স্যামসাং

বার্তাকক্ষ সেলফ রিপেয়ারিং প্রোগ্রামের বিষয়ে বর্তমানে অনেকেই অবগত। বিশ্বের সব দেশে সেভাবে এটি চালু না...

সাড়ে ৪৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ চায়না টেলিকমের

বার্তাকক্ষ কোয়ান্টাম ইনফরমেশন টেকনোলজি গ্রুপ প্রতিষ্ঠায় ৩০০ কোটি ইউয়ান বা ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার...

এমএসআইয়ের নতুন ল্যাপটপ স্টেলথ ১৬ মার্সিডিজ-এএমজি

বার্তাকক্ষ জার্মানির অন্যতম গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজের সঙ্গে চুক্তি করেছে তাইওয়ানের প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রো স্টার...

চিতলমারী প্রতিনিধি
চারিদিকে থৈ থৈ পানি। মাঝে দাঁড়িয়ে আছে জীর্ণশীর্ণ কুঁড়েঘর। ঘরের সামনে স্যাঁতস্যাতে উঠান। উঠানে বসে মা মা বলে ডাকছে তিন বছরের শিশু নয়ন। পাশে বসে আছে ১১ মাস বয়সের ছোট বোন সুমি। দুধের জন্য কাঁদতে কাঁদতে সে এখন থেমে গেছে। এগার বছর বয়সের বড় ভাই সজল ও সাত বছর বয়সের বোন স্বর্ণালী আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁদের দুজনকে সান্তনা দেওয়ার। তাদের চার ভাইবোনের জীবনে ঘটে যাওয়া করুণ কাহিনী।
সজল ব্রহ্ম জানায়, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুইয়ারকুল গ্রামের এই ঝুঁপড়ি ঘরে তাঁরা বসবাস করে। বাবা সুদাস ব্রহ্ম (৩৬) পেশায় দিনমজুর। মা ঝর্ণা বিশ্বাস (৩০) ক্যান্সারে ভূগে মাস দেড়েক আগে মারা গেছেন। সেই থেকে দুধের জন্য ১১ মাস বয়সের ছোট বোন সুমি ব্রহ্ম প্রায়ই ক্ষুধায় ছটফট করে। ছোট ভাই নয়ন ব্রহ্ম সব সময় মায়ের জন্য কান্নাকাটি করে। দিনমজুর বাবা কাজ না করলে তাঁদের চুলা জ্বলে না। তাই সকাল হলেই বাবা বেরিয়ে যান রুজির ধান্ধায়। এরপর তিন ভাইবোনকে সামলানোর দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাধে। সজল এ বছর রুইয়ারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর বোন স্বর্ণালী ব্রহ্ম একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। মা মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁদের দুইজনেরই লেখাপড়া বন্ধ। কাজ থেকে ফেরার পর কথা হয় সুদাস ব্রহ্মর সাথে। তিনি বলেন, সহায় সম্বল বলতে আমার তিন শতক জায়গা। তার আবার চারিদিকে থৈ থৈ পানি। ধারদেনা করে স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছি। এখন ছোটছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে মহাবিপাকে আছি। বর্তমানে দুরমূল্যের বাজারে শ্রম বেঁচে যা আয় হয় তা দিয়ে চাল, ডাল ও নুন কিনতেই সব শেষ হয়ে যায়। ছোট্ট শিশুর দামী দুধ কিনব কিভাবে।রুইয়ারকুল গ্রামের প্রবীন ব্যক্তি দুলাল ব্রহ্ম ও নিরুপমা ব্রহ্ম জানান, মা মারা যাওয়ায় সন্তান গুলো এতিম হয়ে গেছে। অভাব এবং দেখভালের অভাবে ওদের এখন বেঁচে থাকা দুসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওদের এখন সরকারি-বেসরকারি ভাবে আর্থিক সাহায্যের দরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ওই ব্যক্তি আবেদন দিলে তাঁকে সাধ্যমত সহযোগিতা করা হবে।

 

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

শিশু অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি এক আসামির যাবজ্জীবন

খুলনা সংবাদদাতা খুলনায় শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আসামি নবী মোল্লাকে...

ওজোপাডিকোর সাবেক এমডি-সচিবসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খুলনা সংবাদদাতা ৩৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং বিদেশে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে ওয়েস্টেজোন...

প্রতিপক্ষের হামলায় মোরেলগঞ্জে একই পরিবারে ৪ সদস্য আহত

মোরেলগঞ্জ সংবাদদাতা বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছে। হামলার সময়ে প্রতিপক্ষ...