দেশের বাজারে নতুন ডিজিটাল পাওয়ার ইনভার্টার হুয়াওয়ের

0
13

বার্তাকক্ষ ,,বাংলাদেশের বাজারে চারটি সোলার পাওয়ার ইনভার্টার উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। রাজধানীতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সংশ্লিষ্ট অংশীদার ও ইপিসি সহযোগীদের জন্য আয়োজিত ‘হুয়াওয়ে পার্টনার ইকোলজিক্যাল কনফারেন্স ২০২৩’ শীর্ষক এক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। এতে ডিজিটাল জ্বালানির কার্যকরতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
হুয়াওয়ের তথ্যমতে, নতুন ইনভার্টারগুলো হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ডিজিটাল পাওয়ার বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইশিং (জ্যাক) উন্মোচন করেন। এগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক ও শিল্প খাতের (সিঅ্যান্ডআই) জন্য সান২০০০-১০০-কেটিএল-এম২, সান২০০০-১১৫-কেটিএল-এম২, সান২০০০-৫০-কেটিএল-এম৩ এবং ইউলিটি খাতের জন্য সান২০০০-৩৩০কেটিএল-এইচ১ মডেলের ইনভার্টার উন্মোচন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে লিয়াং উইশিং বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্প খাতের জন্য ডিজিটাল জ্বালানি তুলনামূলক একটি নতুন ধারণা। এর অভূতপূর্ব সম্ভাবনা রয়েছে এবং জ্বালানি সংকটে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। নতুন এ ধারণা আমাদের শিল্প খাতকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে শুধু সাশ্রয়ী কিংবা কার্যকরী পরিচালনার সুযোগ করে দেবে না বরং প্রতিষ্ঠানগুলোকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতেও ভূমিকা পালন করবে। এ লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশের বাজারে এসব পণ্য নিয়ে এসেছি। আমার বিশ্বাস, এসব পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।’
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন ইনভার্টারগুলোয় স্মার্ট স্ট্রিং-লেভেল ডিসকানেক্টর (এসএসএলডি) ফিচার রয়েছে, যা রিভার্স কারেন্ট ফ্লো ও শর্টসার্কিট শনাক্ত করতে পারে। এসব ডিভাইসে টিইউভি স্বীকৃত আর্ক ফল্ট সার্কিট ইন্টারাপ্টার (এএফসিআই) ফাংশন ব্যবহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শূন্য দশমিক ৫ সেকেন্ডে ২০০ মিটারের মধ্যে যেকোনো আর্কিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে আগুনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এছাড়া এর পিআইডি (পোটেনশিয়াল ইনডিউসড ডিগ্রেডেশন) রিকভারি ফিচার ৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম।
হুয়াওয়ের দাবি, ‘সান২০০০-৩৩০কেটিএল-এইচ১’ প্রথম ইনভার্টার, যা স্মার্ট ফ্যান ডাস্ট রিমুভাল। এছাড়া স্মার্ট কানেক্টর-লেভেল ডিটেকশন (এসসিএলডি) ফাংশনসমৃদ্ধ। ফলে ইউটিলিটি স্কেল প্রকল্পে ডিসি-সাইড ত্রুটির সময় অত্যন্ত নির্ভুলভাবে এবং দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সহজ হবে। সার্বিক পরিচালনায় কখনই এই ইনভার্টার বন্ধ করার প্রয়োজন হবে না। তাই পরিচালন ব্যয় ও সময় ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ‘সান২০০০-৩৩০কেটিএল-এইচ১’ ইনভার্টারে নতুন প্রজন্মের ১৫০০ভোল্ট স্মার্ট স্ট্রিং ইউটিলিটি পিভি সিস্টেম রয়েছে। এটি সব প্রেক্ষাপটে ব্যবহারযোগ্য প্রথম ডিসি ট্রিপল-সেফ ইনভার্টার।