বার্তাকক্ষ
সরকার ও সরকারি দলের ভূমিকার কারণে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই দিনব্যাপী সভার শেষ অধিবেশনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার ও সরকারি দলের জেদ-অহমিকা ও অবিমৃশ্যকারী ভূমিকা দেশের বিপদ বাড়িয়ে তুলছে। এ কারণে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের আশঙ্কা বৃদ্ধি করছে। কিছুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এই উদ্বেগ ও আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি চলতে দিলে দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থও হুমকির মধ্যে পড়তে পারে।
এই বিশেষ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, এপোলো জামালী, সজীব সরকার রতন, সিকসার হারুন মাহমুদ, শহীদুল আলম নান্নু সাইফুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ শিমুল, মীর রেজাউল আলম প্রমুখ।
বৈঠকের প্রস্তাবে বলা হয়, ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করার সরকারের একগুঁয়ে মনোভাবই সংঘাত-সংঘর্ষের পরিস্থিতি ডেকে আনছে। এর দায়দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলকেই বহন করতে হবে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে আর একটি একতরফা নীল নকশার নির্বাচনী তামাশার কোনও অবকাশ নেই।
প্রস্তাবে অতিদ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনকালীন দল-নিরপেক্ষ সরকার গঠনের রাস্তা খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যুগপৎ ধারায় চলমান গণসংগ্রামকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।২৫ জুনের মধ্যে গার্মেন্টসসহ সকল খাতের শ্রমিকদের উৎসব ভাতাসহ যাবতীয় বকেয়া পরিশোধের জন্য সব মালিক ও সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।
একইসাথে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভার শুরুতে প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও সিরাজুল আলম খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
