হারুন-অর-রশীদ, অভয়নগর :
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তা-ব চালিয়েছে ডাকাতদল। বাড়ির দোতলার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে প্রাইজব-সহ নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, একটি ডিভিআর মেশিন ও দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে ডাকাতেরা। বুধবার ভোররাতে দুর্ধর্ষ এই ডাকাতি সংঘটিত হয়। পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিন ভোর রাতে উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামে নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন গোলাম জহিরুল হক লিখন নামে স্থানীয় ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি হয়। লিখন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির দপ্তর সম্পাদক। ডাকারি ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এনামুল হক বাবুলসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ লিখনের বাড়িতে যান। তারা লিখনের পরিবারের পাশে থাকার ও পুলিশের প্রতি আস্থা রাখার আহবান জানান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জহিরুল হক লিখন বলেন, বুধবার ভোর আনুমানিক ৪ টার দিকে ৬ থেকে ৭ জন ডাকাত আমার ঘরে ঢোকে। ঘুম থেকে তাকে ডেকে উঠিয়ে গলায় রামদা ঠেকিয়ে তারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বেধে নিচের তলায় নিয়ে যায়। এ সময় তারা সাতজন বাড়ির ভেতরে ঢুকেছে ও ২০ জন বাড়ির বাইরে অবস্থান করছে বলে জানিয়ে চিৎকার করতে নিষেধ করে। পরে তারা বাড়ির সবাইকে বেধে নিচের তলায় মায়ের ঘরের আলমারিতে থাকা প্রাইজব-সহ নগদ দুই লাখ টাকা, আনুমানিক ৩৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন ও দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।
লিখনের মা বলেন, আমি একজন বৃদ্ধ মানুষ। ডাকাত দলের সদস্যরা আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন টেনে ছিড়ে নেয়। তারা আমার হাতের আঙটিও খুলে নেয়। তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছে সবাই শিক্ষিত ও স্মার্ট। তারা নিজেদেরকে ডাকাত দাবি করে ঘটনার বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে পরিবারের সবাই চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসেছেন। একটি চক্র বারান্দার গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিনসহ দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। তাদের ফেলে যাওয়া দুটি রামদা, একটি স্ক্রু ড্রাইভার ও গ্রীলের কাটা অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
