Sunday, December 3, 2023
Homeলাইফ স্টাইলনারী-পুরুষের বিয়ের সঠিক বয়স কত?

নারী-পুরুষের বিয়ের সঠিক বয়স কত?

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস

জিনিয়া রাজিন আজ ডিসেম্বরের ৩ তারিখ। একাত্তরের এই দিনে একদিকে যেমন বাংলার বুকে এগিয়ে চলছিল...

ভোটের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে এলেই ভয়-আতঙ্কে ভুগতে থাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এ ভয়ভীতি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা মোটেই...

শরিকদের বেকায়দায় ফেলে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ!

প্রতিদিনের ডেস্ক বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি করে ভোটে অংশ নিয়েছিল আওয়ামী লীগের...

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ: দুই মোটরসাইকেল আরোহী আহত

প্রতিদিনের ডেস্ক রাজধানীর ফার্মগেটে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জন আহত হয়েছেন।...

প্রতিদিনের ডেস্ক॥ বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। দুজন মানুষের মধ্যকার ভালোবাসার সম্পর্কই বিয়ের মাধ্যমে পরিণতি পায়। তবে বিয়ের সঠিক বয়স কত, তা হয়তো অনেকেরই অজানা।যদিও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, বিয়ের জন্য পুরুষের ২১ বছর ও নারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সে বিয়ে করলে তা বৈধতা পাবে না ও বাল্যবিবাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। যা আইনি জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নারী-পুরুষ প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিয়ে করা আইনত যেমন অপরাধ, ঠিক তেমনই কম বয়সে বিয়ে করলে তা দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখাও কষ্টকর।
অল্প বয়সে বিয়ে করলে সংসারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকেই দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারেন না। তবে দেরিতে বিয়ে করলেই মানুষ বেশি সুখী হন।
কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, বিয়ের আগে মানসিক স্বাস্থ্য, বয়স, শিক্ষার স্তর ও আর্থিক অবস্থাসহ বেশ কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখা জরুরি। না হলে বিয়ে পরবর্তী সময়ে সংসারে নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। এর থেকে ডিভোর্স পর্যন্তও হতে পারে।
বিয়ে নিয়ে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষার তথ্য অনুসারে বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো, ২৫-৩২ বছরের মধ্যেই নারী-পুরুষ উভয়ের বিয়ে সম্পন্ন করা উচিত।
আলবার্টা ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা দেরিতে বিয়ে করেন তাদের তুলনায় যারা কম বয়সে বিয়ে করেন তাদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এ কারণে নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করা গুরুত্বপূর্ণ।
সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা, বছরের পর বছর গবেষণা ও বিস্তৃত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০ বছর বা তার আগে যারা বিয়ে করেন তাদের মধ্যেই ডিভোর্সের ঘটনা বেশি ঘটে।এর পেছনে দায়ী হতে পারে, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, পরিবারের চাপ, বোঝাপোড়ার অভাব, ক্যারিয়ার উন্নত না হওয়া ইত্যাদি।
গবেষণা বলছে, ৩২ বছরের পরে যারা বিয়ে করেন তারা আর্থিকভাবেও যেমন স্বচ্ছল হন তেমনই সাংসারিক জীবনেও সূখী হন।
এমন দাম্পত্যে ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষ, হতাশা ইত্যাদি কম ঘটে। এমনকি ২৫-৩২ বছরের মধ্যে যারা বিয়ে করেন তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও কম ঘটে।
মনোবিজ্ঞানী মরগান পেকও দেরিতে বিয়ের পক্ষে। তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি পরিপক্ক অবস্থায় বিয়ে করলে সঠিকভাবে পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। এমনকি সঙ্গীকে সময় দেওয়া থেকে শুরু করে দাম্পত্য বোঝাপোড়াও ভালো থাকে
বিয়ের বেশ কিছু উপকারিতাও আছে। এ বিষয়ে ভারতের মাইন্ডট্রাইব.ইন এর প্রতিষ্ঠাতা ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডক্টর প্রেরণা কোহলি জানান, বিয়ে নারীদেরকে মানসিকভাবে স্থিতিশীল করে ও পুরুষদের বিবেকবোধ বাড়ায়।
ইউনিভার্সিটি অব উইন্ডসে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুসারে, বিয়ে নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই হতাশা ও নেশাগ্রস্ততার মতো মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকিও কমায়।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

কফির সঙ্গে দুধ মেশালে কী হয়?

প্রতিদিনের ডেস্ক সকালে ঘুম থেকে উঠেই নয়, সারাদিনেও বেশ কয়েকবার কফি পান করেন কফিপ্রেমীরা। কেউ...

শীতে আইসক্রিম খাওয়া যে কারণে হতে পারে বিপজ্জনক

প্রতিদিনের ডেস্ক শীত এখনো তেমন জাঁকিয়ে বসেনি। তবে বাতাসে শীত শীত ভাব আছে। আর এমন...

নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি কেন?

প্রতিদিনের ডেস্ক শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানা যায় শুধু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই, এ কথা কমবেশি...