নিজস্ব প্রতিবেদক
শনিবার দুপুর ১২টায় মাইকপট্টি থেকে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট যশোর সদর থানা কমিটির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর থানা কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার আমির, সাধারণ সম্পাদক এড. আহাদ আলী লস্কর, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান রাজেস ও জাতীয় ছাত্রদলের জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক মধুমঙ্গল বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার উন্নয়ন-এর নামে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে লুটপাট করে জাতিকে ঋণের জালে আবদ্ধ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমেছে তখন তা বৃদ্ধি করে তাদের লুটপাটের দ্বায় জনগণের ওপর চাপাচ্ছে। সরকার বলছে পর্যাপ্ত সার মজুত আছে কিন্তু কৃষকরা ডিলার ও দোকানে দোকানে ঘুরেও তাদের চাহিদার সার পাচ্ছে না। এবার আমন মৌসুমে এমনিতেই বৃষ্টির অভাবে রোপনে দেরি ও সেচে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় হয়ে গেছে। তদুপরি প্রয়োজনের সময় সার না পেলে ফলন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ ও কৃষক বিপর্যস্ত হবে। সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের কারণে বাস ভাড়া তথা গাড়ি ভাড়া, খাদ্য দ্রব্যসহ প্রত্যেকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। বাড়েনি মানুষের আয়। মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। চরম দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে সাধারণ মানুষ। করোনা মহামারী, ইউক্রেনযুদ্ধ, তাইওয়ান উত্তেজনাসহ নানা কারণে দেশে বেকার সমস্যা, মূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে। তাই অবিলম্বে গ্রাম ও শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জাতীয় ও জনস্বার্থ উপেক্ষা করে সাম্রাজ্যবাদ ও তাঁর দালালদের শ্রেণীর স্বার্থে সরকার এই সংকট বৃদ্ধি করে চলেছে। তাই সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সফল করতে হবে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব। কায়েম করতে হবে শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান। তা ছাড়া মুক্তির বিকল্প কোন পথ নেই।
