নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৬ প্রকল্পে ৮৩০ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন

0
13

বার্তাকক্ষ ,,নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ছয় প্রকল্পের পূর্ত কাজের জন্য ৮৩০ কোটি ৯ লাখ ১৪ হাজার ১১৫ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মাধ্যমে এসব প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য দু’টি প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। দু’টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে ১৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাতটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল।
এই ১৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ১২১ কোটি ৬২ লাখ ৩ হাজার ৩৯৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে ব্যয় এক হাজার ১৮ কোটি ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ১১১ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক ও চীনের নেতৃত্বাধীন এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) অর্থায়নে এক হাজার ১০২ কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৮ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব বাদে বাকি সবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন না পাওয়া প্রস্তাবটি হলো- গ্রাব ড্রেজারের পন্টুনের নির্মাণকাজ নেদারল্যান্ডের পরিবর্তে বাংলাদেশে করা। এ জন্য খরচ ধরা হয় ১৯৯ কোটি ২২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯২ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া ৬ প্রস্তাব
>> ‘কনস্ট্রাকশন অব জেনারেল কার্গো টার্মিনাল ইউথ এলায়িড ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাট পানগাঁও’-এর পূর্তকাজ তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড থেকে কেনার অনুমোদন। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১৬৩ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬০৪ টাকা।
>> ‘কনস্ট্রাকশন অব জেনারেল কার্গো টার্মিনাল ইউথ এলায়িড ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাট আসুগঞ্জ’-এর পূর্তকাজ যৌথভাবে বাংলাদেশের এনডিই ও এসএসআরআই এবং কোরিয়ার দেয়াংয়ের কাছ থেকে কেনার অনুমোদন। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২১০ কোটি টাকা।
>> চাঁদপুর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উন্নয়নের পূর্তকাজ তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড থেকে কেনার অনুমোদন। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৫ টাকা।
>> বরিশাল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উন্নয়নের পূর্তকাজ যৌথভাবে বাংলাদেশের এনডিই ও এসএসআরআই এবং কোরিয়ার দেয়াংয়ের কাছ থেকে কেনার অনুমোদন। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
>> ‘ডেভেলপমেন্ট অব এ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট উইথ ফ্যাকাল্টি অ্যাট ডেক অ্যান্ড ইঞ্জিন পার্সোনাল ট্রেনিং সেন্টার, নারায়ণগঞ্জ’ এর পূর্তকাজ ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড থেকে কেনার অনুমোদন। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
>> ঢাকার শ্মশানঘাট নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উন্নয়নের পূর্তকাজ কোরিয়ান দেয়াং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিডেট থেকে কেনার অনুমোদন। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৭ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪৬ টাকা।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রস্তাটি হলো- সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ‘ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক সেবা যৌথভাবে ভারতের এলইএ অ্যাসোসিয়েট সাউথ এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, কোরিয়ার ইয়ংমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের দেশ উপদেশ লিমিটেড থেকে নেওয়া জন্য বলা হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭ হাজার ৩৮৫ টাকা।