বার্তাকক্ষ
বাজারে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছুঁতে চলেছে। আকারে তুলনামূলক ছোট ও ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকার দরে। এতে বিপদে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কিছুদিন আগেও তিন কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। কিন্তু এখন সেই দামে পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি
শুক্রবার (১৯ মে) মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় মূল্য বৃদ্ধির এ চিত্র। পেঁয়াজের এই মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ দোষারোপ করছেন ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, মাছ-মাংস ও মুদি দোকানের জিনিসপত্রের দাম রয়েছে মোটামুটি আগের মতোই।
আজকের বাজারে আলু ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০-৯৫ টাকা, আদা ২৬০-৩২০ টাকা ও রসুন ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের কাজ করেন টিটু। বাড়ির মালিকের যাবতীয় বাজার তারই করা হয়। তিনি বলেন, রোজার আগে পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকায়, আজকে কিনলাম ৮৪ টাকা কেজি। চার-পাঁচদিন আগে কিনেছি ৭০ টাকা কেজিতে। দাম বেড়েই চলছে। আমি যেহেতু অন্যের বাজার করি আমার পড়তে হয় বিপদে। প্রতিদিন দাম ভিন্ন বললে তারা (মালিক) অন্যরকম ভাবে।
বাজার করতে আসা আরেক ব্যক্তি বলেন, ৮০ টাকার নিচে বাজারে পেঁয়াজ নেই। এভাবে হলে আমরা কীভাবে চলবো?
পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফারুক হোসেন বলেন, এখন পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি। ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ আসছে না তাই এখন বাড়তি আছে।রশিদ নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, এবার দেশে পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। তবুও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে বলছে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ নেই বলে।
আজকের কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দরেই। পেঁপে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, গাজর ৭০-১২০ টাকা, টমেটো ৪০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৮০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১৬০ টাকা, লাউ ৭০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি।
ইলিশ মাছ ১৭০০-২০০০, রুই মাছ ৩০০-৪০০, কাতল মাছ ৪৫০-৫০০, কালিবাউশ মাছ ৫০০-৫৫০, চিংড়ি মাছ ৭০০-৯০০, কাঁচকি মাছ ৫০০, টেংরা মাছ ৭০০, পাবদা মাছ ৪০০ টাকা কেজি। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৯৮-২১৫, দেশি মুরগি ৬৮০, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি।
মাছ বিক্রেতা নিতুন বলেন, এখন চিংড়ি মাছের দাম বেশি। এবার খরার কারণে বিলে মাছ হয়নি। তাই দাম বেশি। তবে কিছুদিন পর দাম কমে যাবে।
এছাড়া মুদি দোকান ঘুরে জানা যায় চিনি, তেল ডালের মতো দ্রব্যাদির দাম। এসব পণ্যের দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। মুসরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা, খোলা আটা ৫৭ টাকা, খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, সয়াবিন তেল (প্যাকেট) ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮৮ টাকা ও খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।
