কুষ্টিয়া সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার মেয়র মো. সামছুজ্জামান অরুনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র সৃজন এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ এর বিধিবিধান এবং সরকারি প্রজ্ঞাপনের নিয়মভঙ্গ করে কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক/কর্মচারী পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. আবুল কাশেম, শিক্ষক প্রতিনিধি ও ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ভোকেশনাল শাখার মো. আব্দুস সাত্তার, সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. খলিলুর রহমান, সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) আসমা বেগম মালা, সহকারী শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) এস এম আতি বিন বাপ্পী, সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) কুতুবুল আলম, সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) মনিরা পারভিন, সহকারী শিক্ষক (জীববিজ্ঞান) লুৎফুন নাহার লাবনী, সহকারী শিক্ষক (ভৌতবিজ্ঞান) শেখ মো. সেলিম রেজা, কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর (ভোকেশনাল শাখা) সাম্মী আক্তার, সহকারী শিক্ষক (ভৌতবিজ্ঞান) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদী, সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) আমিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) মো. শহিদুল ইসলাম, নিম্নমান সহকারী কম্পিউটার অপারেটর বাসনা রানী কর্মকার, আয়া মোছা, রুপালী খাতুন, পরিছন্নতা কর্মী সনজিদ কুমার বাঁশফর, নৈশ্য প্রহরী মো. নাসিম হোসেন, অফিস সহায়ক (পিয়ন) মো. আলমগীর হোসেন, দারোয়ান মো. আমিরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট মোছা. খাদিজাতুল কোবরা ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার নামে মামলা হয়েছে কিনা জানি না। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।’ কুমারখালী পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুন বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না। দুদক মামলা করেছে, তারা তদন্ত করুক।’ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বলেন, ‘মামলা হয়েছে। আইনগতভাবে কার্যক্রম চলবে।’