Saturday, September 23, 2023
Homeশহর-গ্রামমাগুরাবাইসাইকেলে চড়ে স্কুলে যাবে কেয়া

বাইসাইকেলে চড়ে স্কুলে যাবে কেয়া

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

উদ্যোগ নেয়া হোক কার্যকরী

বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছে। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন বহন করার মতো...

নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিদিনের ডেস্ক ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু...

ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ: যা বিষেও মরছে না, দিশেহারা কৃষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কৃষকরা। তবে এবার...

চৌগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দ্বিতল ভবন, দূর্ঘটনার আশংকা

চৌগাছা সংবাদদাতা যশোরের চৌগাছা বাজারে জরাজীর্ণ একটি দ্বিতল ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ...

মাগুরা সংবাদদাতা
হতদরিদ্র ভ্যান চালকের মেয়ে কেয়া। বাবার অল্প আয়ের সংসারে কোনো মতে চলছে তার পড়ালেখা। বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব চার কিলোমিটার হওয়ায় ঠিকমতো বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে পারে না সে। অবশেষে কেয়ার প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে গোলাপি রঙের একটি নতুন চকচকে বাইসাইকেল কিনে দিয়েছেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক আফছার উদ্দিন আহমেদ। শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কেয়া খাতুনের হাতে সাইকেলটি তুলে দেন আফছার উদ্দিন। কেয়াদের বাড়ি উপজেলা সদরের পোয়াইল গ্রামে। সে সদরের সরকারি আর.এস.কে.এইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার আরেক ভাই একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। কেয়া খাতুন বলেন, ‘কেউ আমারে নতুন একটি বাইসাইকেল কিনে দেবেন আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমি দারুণ খুশি। আমি পড়ালেখা করতে চাই। আমি নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে চাই।’
কেয়ার বাবা মো. রিজাউল বলেন, ‘ভ্যান চালায়ে দৈনিক যে টাকা আয় করি, তা দিয়ে ছাওয়াল মায়ের খাবারই ঠিক মতো জুটাতি পারিনে। মায়েডা পড়ালেহায় খুব ভালো। বাড়িত্তে স্কুল চার কিলোমিটার দূর। ভ্যান ভাড়া দিতি না পারায় প্রায়ই হাঁটে স্কুলি যাতি হয়। স্কুলে যাতি দেরি হয়ে যায়। মায়েডা প্রায়েই এট্টা সাইকেলের আবদার করে। কিন্তু সাইকেল আমি কোহানতে কেনব? পরে আফছার স্যার খবর পায়ে আমার মনিরে নতুন একখান সাইকেল কিনে দেছে। এহন আমার মনি সাইকেল চালায়ে স্কুলি যাতি পারবি। ভালো করে লেহাপড়াও করতি পারবি। স্যারের জন্য আমি দোয়া করি।’ শিক্ষক আফছার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা যথাসম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। মেয়েটি সাইকেলের অভাবে স্কুলে যেতে পারছে না জেনে একটি সাইকেলের ব্যবস্থা করে দেই। এতে তার পড়ালেখা, স্কুলে যাওয়া আসায় অনেক সুবিধা হবে।’

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ: যা বিষেও মরছে না, দিশেহারা কৃষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কৃষকরা। তবে এবার...

চৌগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দ্বিতল ভবন, দূর্ঘটনার আশংকা

চৌগাছা সংবাদদাতা যশোরের চৌগাছা বাজারে জরাজীর্ণ একটি দ্বিতল ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ...

শ্যামনগরে যাতায়াতে জনদুর্ভোগের গ্রামের নাম পূর্ব জেলেখালি

উৎপল মণ্ডল,শ্যামনগর সাতক্ষীরা শ্যামনগরে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব জেলেখালি গ্রামের ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা কয়েক...