Friday, December 8, 2023
Homeসম্পাদকীয়বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ ইতিবাচক

বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ ইতিবাচক

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

দেশে তৈরি প্রথম ল্যাপটপ উন্মোচন ইনফিনিক্সের

প্রতিদিনের ডেস্কপ্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বাজারে ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে ইনফিনিক্স। ব্র্যান্ডটির নতুন ল্যাপটপ ইনবুক ওয়াই...

চলতি মাসেই গ্যালাক্সি বুক ৪ আনবে স্যামসাং

প্রতিদিনের ডেস্ক দুই সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়র লেক প্রসেসর উন্মোচন করতে পারে ইন্টেল। এর সঙ্গে গ্যালাক্সি...

ফেসবুক-মেসেঞ্জারে এনক্রিপশন সুবিধা চালু করছে মেটা

প্রতিদিনের ডেস্ক ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের সব ব্যক্তিগত কথোপকথন ও কলের জন্য এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচার আনছে...

বিয়োগান্তক প্রেমের স্মারক ‘বাকরখানি’

ফারিহা আজমিন হাল জামানার ধরন অনুসারে দ্রুতই বদলাচ্ছে মানুষের রুচি। পুরোনো দিনের অনেক কিছুই হারাতে...

বাংলাদেশে আসছে আরো জাপানি বিনিয়োগ। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় আরো ১৩শ জাপানি কোম্পানি। এটি ইতিবাচক সংবাদ। ঢাকায় অবস্থানরত জাপানের ২৭ কোম্পানির ৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলে। এ সময় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএ) থেকে জানানো হয়, জাতীয় নির্বাচনের পর আরো ৩০০ জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে আসবে। আর আগামী এক বছরের মধ্যে আরো ১ হাজার জাপানি কোম্পানি বিনিয়োগ করতে আসবে। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে আসছে জাপান। দেশটি এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী। জাপানের সহায়তার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু। বাংলাদেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্প্রসারণ, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি, মেট্রোরেল এবং মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রভৃতি মেগা প্রকল্পে জাপান এরই মধ্যে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়া দেশের বেসরকারি খাত এবং মানবসম্পদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধিতেও জাপান ক্রমাগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩৫০টি জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট বিনিয়োগ ৩৮০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ২০২২ সালে বাংলাদেশ জাপানের কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে। এটি একটি রেকর্ড। গত এক দশকে বাংলাদেশে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪ গুণ বেড়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থানের দিক দিয়ে ব্যাপক ব্যবধান সত্ত্বেও এশিয়ার জাপান ও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক সুদৃঢ়করণ এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিদ্যমান ঐকান্তিক ইচ্ছা জোরদার হচ্ছে। প্রথমবারের মতো জাপানের এত বড় একটি টিম বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশ ১০০টি ইকোনমিক জোন করার ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটির কাজ চলছে। এগুলোসহ ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা বাংলাদেশে রয়েছে। বিশ্বে বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত ও ম্যানগ্রোভ বনসহ দর্শনীয় সেন্টমার্টিন দ্বীপ রয়েছে বাংলাদেশে। এসব জায়গায় বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণেরও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। জাপান সরকারের উন্নয়ন সহায়তার পাশাপাশি জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে অধিকতর বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। এটাকে কাজে লাগানো দরকার। একই সঙ্গে জাপানের বাজারেও বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি বড় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার হয়ে উঠতে পারে জাপান। বাংলাদেশেরও উচিত যেসব ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা কম, সেসব ক্ষেত্রে জাপানিদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করা। তথ্যপ্রযুক্তি ও সমুদ্রসম্পদ আহরণেও সহযোগিতা করতে পারে জাপান। জাপানের সহযোগিতায় এভাবেই আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারি। জাপানের কাছ থেকে আরো বড় ধরনের বিনিয়োগ আশা করে বাংলাদেশ। আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে। তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে পিটিএ বা এফটিএর মতো বাণিজ্য চুক্তি করা জরুরি। এ সময়ের বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরো প্রসারিত হবে- এমন আশা রাখছি।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

নির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে অস্ত্র উদ্ধার জরুরি

আগামী শনিবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চিহ্নিত...

শিশুশ্রম বন্ধে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি

শিশুশ্রম রোধে সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ যেন কাজে আসছে না। দিন দিন যেন শিশু শ্রমিকের...

কী হবে এই সংঘাতের ভবিষ্যৎ

গাজায় আবারো জোরেশোরে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির পর তিন দিন ধরে গাজায় হামলা...