Sunday, June 4, 2023
Homeশহর-গ্রামযশোরভবদহ অঞ্চলে পানির অভাবে মৎস্য ব্যবসায় ধ্বস

ভবদহ অঞ্চলে পানির অভাবে মৎস্য ব্যবসায় ধ্বস

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

বাজেটে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ ইতিবাচক

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। শুধু নিত্যপণ্য নয়, বেড়েছে বিদ্যুতের দাম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও...

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সরগরম সিলেট নগরী

বার্তাকক্ষ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা আর মাইকিংয়ে এখন সরগম সিলেট নগরী। কে হচ্ছেন আগামী দিনের নগরপিতা আওয়ামী...

ম্যানইউকে হারিয়ে ‘ডাবল’ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি

বার্তাকক্ষ ২৪ বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবের ট্রেবল জয়ের দারুণ এক হাতছানি ম্যানচেস্টার...

৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

বার্তাকক্ষ ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৷...

অভয়নগর সংবাদদাতা
অভয়নগরের ভবদহ অঞ্চলে পানির অভাবে মৎস্য ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। এ কারণে ঘের মালিকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। ঘেরগুলো পানির অভাবে খাঁ-খাঁ করছে। গত কয়েক বছর অতি বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ঘেরগুলো ডুবে মাছ চলে গেছে। যে কারণে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক লোকসান হয়েছে। আর এ বছর বৃষ্টির অভাবে ঘেরগুলো মরুভূমি হয়ে গেছে। কিভাবে মালিকদের জমির হারি দেবেন, এমন দুশ্চিতায় ভুগছেন ঘের মালিকরা। ডুমুরতলা বিলে গিয়ে দেখা যায়, ডুমুরতলার গণঘের, কোটার বিলের গণঘের, সরখোলার ইকবলের ঘেরসহ অসংখ্য ঘের শুকিয়ে গেছে। এছাড়া সুন্দলী ইউনিয়নের সড়াডাঙ্গা বিলের মোশারেফ হোসেনের ঘের, মামুনের ঘের শুকিয়ে গেছে। হাটগাছা বিলে ইকরামুলের ঘের, সুজাতপুরে শংকার রায় এর ঘের, পরেশ মল্লিক এর ঘের, আলীপুরে কপিল রাঘের ঘের, দিপংকর কবিরাজের ঘের, অশোক বিশ্বাসের ঘেরসহ ভবদহ অঞ্চলে অধিকাংশ ঘের শুকিয়ে চৌ-চির হয়েগেছে। এ ব্যাপারে ঘের মালিক কপিল রায় বলেন, আমার ২টি ঘের শুকিয়ে গেছে। ঘেরে পানি না থাকায় আমি মাছ ছাড়তে পারছিনা। এখন জৈষ্ঠ মাস, যদি ঘেরে মাছ না থাকে তাহলে আষাঢ় আর শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি হলে ঘের প্রসেসিং করে মাছ দিয়ে এক দুই মাসে কিভাবে মাছ বড় করে লাভবান হবো। ঘের মালিক শংকর রায় বলেন, আমার ঘেরে প্রতি বিঘা জমিতে হারি দিতে হয় ২০ হাজার টাকা। এক দুই মাস ঘের করে কিভাবে মালিকদের হারির টাকা পরিশোধ করবো। এদিকে জমি মালিকদের হারি দিতে একটু দেরি হলে তারা গোপনে অন্য ব্যক্তিকে জমি ডিট দিয়ে দেয়। এবছর ঘেরে পানি না থাকায় আমরা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মত রয়েছি। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, ভবদহ স্লুইচ গেটে বড় বড় ১৬টি সাব মার্চিবল পাম্প বসানো কারণে ভবদহ অঞ্চল থেকে পানি নেমে গেছে। যে কারণে এবছর ঘের ব্যবসায় ধ্বস নেমে এসেছে। সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল জানান, এ বছর জ্বলের সংকট দেখা দিয়েছে। ঘের ব্যবসায়ীরা পোনা মাছ ছাড়তে পারেনি। গত কয়েক বছর এ এলাকা জলাবদ্ধাতা থাকার কারণে ঘের ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, এ সরকার মৎস্য খাতে অনেক ভুর্তকি দিয়ে থাকে। মৎস্য চাষীদের ব্যাপারে আমাদের নজর আছে। এবার পানির অভাব দেখা গেছে।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

বার্তাকক্ষ ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৷...

৫ জুন রাত পর্যন্ত উৎপাদনে থাকছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র

বার্তাকক্ষ কয়লা সংকটে উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে দেশের বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার। তবে ৩ জুন কেন্দ্রটি...

কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ

বার্তাকক্ষ গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ...