ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে প্রতারণাই তাদের পেশা

0
10

কামরুজ্জামান মুকুল, বাগেরহাট
আলিফ এন্টারপ্রাইজ, খান জাহান এন্টারপ্রাইজ, আলম এন্টারপ্রাইজসহ নানা নাম আর বিভিন্ন অফিস। দেশের অনেক জেলায় তাদের কয়লার ব্যবসা। বিস্তীর্ণ এলাকায় কয়লার মজুত দেখিয়ে ভিডিওকলে ক্রেতাদের দেখাতেন। লেনদেন হয়ে গেলে কার্গোতে কয়লা লোডের ভিডিও দেখাতেন। এরপরই ফোন বন্ধ। আর কোনো খোঁজ পাওয়া যেত না তাদের। হাতিয়ে নিতেন কোটি কোটি টাকা।বাগেরহাটে এভাবে প্রতারণার অভিযোগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থেকে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা। তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাটসহ দেশের একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। পরে গ্রেফতারকৃতদের বাগেরহাটের রামপাল থানায় হস্তান্তর করা হয়।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানতে পারে- গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন শতাধিক মোবাইল সিম কার্ড ব্যবহার করে কয়লা বিক্রির ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে বাংলাদেশের সাত জেলা নারায়ণগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, শরীয়তপুর, নোয়াখালী ও পিরোজপুরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে এনে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ব্যবসায়ী এ কে এম আজিজুল ইসলামের ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারসহ মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শেখর চন্দ্র বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের রিমান্ডের আবেদন জানান। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শুনানি শেষে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. খোকন হোসেন প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. আব্দুল আলী ফকিরকে তিন দিন, অপর দুই প্রতারক মো. আরিফ ও মো. হারুন হাওলাদারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।