Saturday, September 23, 2023
Homeজাতীয়ভেসে আসিনি, রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি : রাষ্ট্রপতি

ভেসে আসিনি, রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি : রাষ্ট্রপতি

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

প্রেগনেন্সি প্রসঙ্গে খোলাসা করলেন ঋতাভরী

প্রতিদিনের ডেস্ক দু’দিন আগে টলিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী আচমকা ঘোষণা দেন, তিনি মা হতে চলেছেন।...

নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশি হস্তক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিনের ডেস্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে এমনকি বিদেশ থেকেও যদি কোনও...

একসঙ্গে ৯ সন্তান জন্ম দেওয়া হালিমা

প্রতিদিনের ডেস্ক একই সঙ্গে ৯টি সন্তানের জন্ম দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন এক মা। মঙ্গলবার গিনেস...

তিন ফরম্যাটেই এখন শীর্ষে ভারত

প্রতিদিনের ডেস্ক অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে গেছে ভারত। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতের...

বার্তাকক্ষ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে।’ মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকালে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে অনুষ্ঠিত নাগরিক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিল। কিন্তু পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক মন্ত্রী আমার কাছে এসে বিশ্ব ব্যাংকের দাবি মেনে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছি।’ এ সময় তিনি পাবনা থেকে সরাসরি ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেন। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আনন্দ মেতে ওঠেন। ধাপে ধাপে পাবনাবাসীর দাবি পূরণে আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি। স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমি এই পাবনা শহরে প্রতিরোধ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট আমাকে গ্রেফতার করে সেনা ক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে আমিসহ আরও অনেককে নিয়ে টানা তিন মাস চালিয়েছিল অসহ্য-অমানবিক নির্যাতন। তিন বছর কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে মুক্তি পাই। তারপর বিচারক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেই। সাধ্যমতো দেশের জন্য কাজ করেছি। জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। সেই দায়িত্ব পালনকালে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল তার তদন্তের ভার আমাকে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কানাডার আদালতে বিশ্ব ব্যাংকের সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এই চাপ মোকাবিলায় আমার প্রতি পাবনাবাসীসহ দেশবাসীর দোয়া ছিল বলেই সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রপতি হবো কখনও ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছিল বলেই এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এ জন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা প্রভাব থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল। মানুষের গড় আয়ু ও জীবযাত্রার মান বেড়েছে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে।’ এর আগে বিকাল ৩টা ২৪ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে বরণ করেন পাবনাবাসী। বিকাল ৩টা ২৭ মিনিটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশি হস্তক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিনের ডেস্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে এমনকি বিদেশ থেকেও যদি কোনও...

‘জুলকারনাইন সায়ের ফেসবুকে মিথ্যাচার করছেন’

প্রতিদিনের ডেস্ক জুলকারনাইন সায়ের নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের...

নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিদিনের ডেস্ক ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু...