‘ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করার মানসিকতা থাকতে হবে ব্যবসায়ীদের’

0
14

বার্তাকক্ষ ,,ব্যবসায়ীদের ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করার মানসিকতা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতকরণের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মানসিকতার উন্নয়ন চেয়ে তিনি বলেছেন, আমরা উন্নত দেশ হচ্ছি, মনের দিক থেকেও আমাদের উন্নত হতে হবে। প্রচণ্ড সাহস আমার থাকতে হবে, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সাহস থাকতে হবে।মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব ভবনে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাটনীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্সের সুবিধা না নিলে পারছি না। মরে গেলাম, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে- এসব কথা বলেন। ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। এগুলো দিয়েই আমাদের ব্যবসা করতে হবে। আমরা অত্যন্ত সক্ষম ব্যবসায়ী হবো। ভ্যাট-ট্যাক্স মাফ নয়, এগুলো দিয়েই আমরা ব্যবসা করবো- এই মানসিকতা থাকতে হবে ব্যবসায়ীদের।
এদিন ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন তাদের বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে। বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি কনফেকশনারি পণ্য ভ্যাটমুক্ত রাখা, ২০০ টাকা মূল্যের প্রতিকেজি বিস্কুট ও ২৫০ টাকা কেজি মূল্যের প্রতিকেজি কেক ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার প্রস্তাব দেন তারা। এছাড়া ২০১২ সালের মূসক ও সম্পূরক আইনের ২৬ ধারার আলোকে অব্যাহতির তালিকায় কেক, ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানায়।আমদানি পর্যায়ে যদি কোনো পণ্যের ওপর উৎস কর কর্তন করা হয় তাহলে সরবরাহ বিল থেকে পুনরায় আয়কর কর্তন অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন।ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অফিস, গোড়াউন, ফুলফিলমেন্ট সেন্টার, সর্টিং সেন্টারের ভাড়ার ওপর থেকে ভ্যাট রহিত করা, ডেলিভারি চার্জের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা, ১০ বছরের জন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কর অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব জানায় ই-ক্যাব।
বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরইএ) তাদের প্রস্তাবে জানায়, বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুয়ায়ী, ২০৪১ সালের মধ্যে মোট উৎপাদিত শক্তির ৪০ ভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদন করতে হবে। আসন্ন বাজেটে সোলার ইনভার্টার, সোলার প্যানেল মাউন্টিং, ইউবি প্রতিরোধক ডিসি, সোলার স্ট্রিট লাইট ও সোলার পাম্প, লিথিয়াম আয়রন ব্যাটারিসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর আরোপ করা আয়কর ও শুল্ক থাকলে এ লক্ষ্য অর্জণ করা অনেকটাই অসম্ভব।