রেজাউল করিম, লোহাগড়া :
কালনা ছয় লেনের মধুমতি সেতু উদ্বোধনের প্রথম আট দিনে ২৮ হাজার ৬৫০টি যানবাহন পারপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩০ টাকা। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গত ১০ অক্টোবর মধুমতি সেতুর উদ্বোধন করেন। ১১ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিটি থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। এরমধ্যে প্রথম দিন (১১ অক্টোবর) ৩ হাজার ৫৭৬টি গাড়ি পারাপারে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৫৫ টাকা টোল আদায় হয়। ১৮ অক্টোবর ৩ হাজার ৬৩টি গাড়ি পারাপারে টোল আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ১৮০ টাকা। টোল আদায় ব্যবস্থার এখনও ইজারা হয়নি। সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টোল আদায় করছেন। টোলের কম্পিউটারাইজ রশিদ দেওয়া হচ্ছে। এ রুটে পুরোদমে এখনও গাড়ি চলাচল শুরু হয়নি। ভোমরা, বেনাপোল পোর্ট ব্যবহারকারীরা অচিরেই রুটটি ব্যবহার শুরু করবেন। এছাড়া, ঢাকা-বেনাপোল, ঢাকা-যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০ জেলার পরিবহন চলাচল পুরোপরি শুরু হলে টোল আদায়ের হার আরও বাড়বে। টোল কালেকশন সিস্টেম কম্পিউটারাইজ করা হয়েছে। ফলে এখান থেকে শতভাগ টোল আদায় সম্ভব হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র আরও জানায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুর টোল হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কন্টেইনার বা ভারী মালামাল পরিবহনে সক্ষম যানের টোল ধরা হয়েছে ৫৬৫ টাকা, বড় ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ২২৫ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস বা পিকআপ ৯০ টাকা, সিডান কার ৫৫ টাকা, টেম্পো বা সিএনজি অটোরিকশা ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং ভ্যান, রিকশা বা বাইসাইকেলের জন্য ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মধুমতি সেতুর পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পাড়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা। এই সেতু গোপালগঞ্জের সঙ্গে নড়াইলসহ যশোর অঞ্চলকে একত্রিত করেছে। সেতুটি চালু হওয়ার আগে ইজিবাইক, অটোরিকশা ও টেম্পো, তথা তিন চাকার যান কালনা ঘাট থেকে মধুমতি নদী পার হয়ে নড়াইলসহ যশোর অঞ্চলে যাতায়াত করতো। সেতুটি হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ কমেছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাপানি ও বাংলাদেশি ঠিকাদারেরা যৌথভাবে সেতুটি তৈরি করেছেন। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার।